Main Menu

সরকারি বেতন নিয়ে যারা কাজ করে না তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : পরিকল্পনা মন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের চালিকা শক্তির মূলে রয়েছেন, কৃষক, শ্রমিক ও মজুর- এক কথায় জনগণ। তারাই আসল নায়ক, আর সকল কিছুর প্রধান নেতা হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সব কিছুর জন্য একটা নেতৃত্ব দরকার আর সেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুরে জনতা চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আপনাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে কিন্তু কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। আমি গ্রামের মানুষ আমি আমার এলাকার খবর জানি। শহরে থাকেন অনেকেই ভাল কথা, এখান থেকে তো শান্তিগঞ্জ উপজেলা ৩০ মিনিটের দূরত্ব সহজেই যাওয়া যায়। দয়া করে আপনারা ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন। এ জন্য আমাদের জনগণকেও সচেতন হতে হবে। যারা সরকারি বেতন ভোগ করেন কিন্তু কাজ করে না তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের নিশ্চয় মনে আছে কেউ দেখেছি কেউ আবার ইতিহাস পড়ে জেনেছি বঙ্গবন্ধু কিভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করেছেন। এখন তারই মেয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের দারিদ্র্যের কলঙ্ক, গরিবী কলঙ্ক, হাত পাতার কলঙ্ক, বিদেশী পচা গম খাওয়ার কলঙ্ক-এসব এখন মুছে গেছে। দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে আমার নেতা শেখ হাসিনার সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য এসব কথা বলছি না। বয়স্ক মানুষ হিসেবে বলছি। মন্ত্রী না থাকলে কিছু হবে না। অনেক সম্মান পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে। আপনাদের দোয়ায় মন্ত্রীত্ব না থাকলেও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। মন্ত্রী বলেন, সরকার পিছিয়ে পড়্া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছে। কিন্তু এখন গ্রামে-গঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক। বাড়ির পাশে স্কুল সব কিছু রয়েছে। গত ১২ বছরে সরকার এগুলো করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আসেন উন্নয়নের ঢেউয়ে শরিক হই। দলমত নির্বিশেষে সবাই আসেন নেত্রীর সাথে উন্নয়নে সামিল হই। আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করি। আমাদের বাজেটের পুরো টাকা আমাদের। হ্যাঁ আমরা ঋণ নিই। আমরা আইডিবি বিশ্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নিই এবং সেই ঋণ সুদে আসলে আমরা আবার পরিশোধ করে দিই।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আজকে পবিত্র দিন শুক্রবার এই দিনকে স্বাক্ষী রেখে বলছি। আমরা কারো কাছে হাত পাতি না। এখন সব নিজেদের টাকা। অনেকেই বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না কিন্তু আর কিছু দিন পর এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলবে। অনেকেই বলেছিল দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক তার উল্টো হয়েছে। আমাদের এখন অনেক রিজার্ভ রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে শ্রমিকের কাজ করে তারা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটে। বসিয়ে রেখে এরাবিয়ান বা বিদেশীরা টাকা দেয় না। কাজ করার পর টাকা দেয়। অমানবিক পরিশ্রম হয় তাদের রোজগার করতে। কিন্তু সরকারি লোকজন সেটা বুঝতে চান না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা, টাকা নেন-কাজ করেন। এ জন্যই মূলত সরকারি লোকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, সিভিল সার্জন ডা.আহম্মদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খাযরুল হুদা চপল প্রমুখ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *