Main Menu

ইউক্রেইন যুদ্ধ: জাতিসংঘে ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ওঠা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশ ‘শান্তি চায়’ এবং ‘যুদ্ধের বিপক্ষে’ বলে ভোট দানে বিরত ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন।

তখন বাংলাদেশের ভোট দানে বিরত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা শান্তি চাই, সেজন্য আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমরা। যুদ্ধের সপক্ষে আমরা ভোট দেইনি।”

গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশ।

১৯৩ সদস্য দেশের পরিষদে ওই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে ১৪১ দেশ এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে রাশিয়াসহ পাঁচ দেশের।

এর আগে গত মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের একাগ্রতার প্রতি সমর্থন জানান এবং সবপক্ষকে সংঘাত থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানান।

সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে জরুরিভিত্তিতে সংলাপে বসার হওয়ার আহ্বানও জানান বাংলাদেশের প্রতিনিধি।

একইসঙ্গে ইউক্রেইনে মানবিক সহায়তার নিরাপদ ও অবাধ প্রবেশাধিকারের সুযোগের নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশটি যারা ছাড়তে চায়, তাদের পথ নিরাপদ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ভোটদানে বিরতি ছিল। চীন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, ইরাক, ভিয়েতনামের পাশাপাশি উগান্ডাসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের একই অবস্থান। আমরা শান্তি চাই। বিশ্বে স্থিতিশীলতা চাই। কোথাও অস্থিতিশীল হলে আমাদের অসুবিধা হয়।

“কোভিডের সময় দেখেছেন, কোথাও অস্থিতিশীল হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আঘাত পড়ে। কোনো দেশের অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে আমাদের ম্যানপাওয়ারের সমস্যা হয়।”

বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং পৃথিবীতে শান্তির সবচেয়ে বড় প্রবর্তক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ মীমাংসার কথা বলেছি। আমরা জাতিসংঘেও একই কথা বলেছি। আমরা বলেছি, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শান্তির মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে যাতে সমাধান হয়। আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, জাতিসংঘের মহাসচিব… শুড টেক অ্যা ইনিশিয়েটিভ, যাতে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা ইউএন চার্টারে বিশ্বাস করি। যাতে সেটা ফলো করা হয় সেটার জন্য বলেছি। সভরেনটি-ইন্টেগ্রিটির কথা বলেছি। সেগুলো যাতে…।”

ইউক্রেইনের বিভিন্ন জায়গায় বা পাশের দেশগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। তারা আমাদের সহায়তা করছে।”

‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে কারা হামলা করেছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো তথ্য পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, “কে জাহাজে বোমা মেরেছে আমরা জানি না। রাশিয়া দুঃখ প্রকাশ করেছে। আগুন আমাদের নাবিকরা নিভিয়েছে। খুব বড় ড্যামেজ হয়নি। যেহেতু নাবিকরা ভয় পাচ্ছেন সেহেতু আমরা তাদের উঠিয়ে নিয়ে আসছি।”

রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাক কী হয়। বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। বিশ্লেষণ করছি। আরও বিস্তারিত আসবে আমরা সেভাবে কাজ করব। দেশের জন্য যেটা মঙ্গল সেটা করা হবে।”

সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ছিল সি এম তোফায়েল সামীর স্মরণে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সি এম শফি সামী, সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী।

বিডিনিউজ এর সৌজন্যে






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *