Main Menu

মুক্তমতকে অবদমন করা হলে দেশ এগোয় না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান, সার্টিফিকেট প্রদানের জন্যই নয়। এখানে জ্ঞান, বুদ্ধি, মুক্তবুদ্ধি, সংস্কৃতি, ন্যায়চর্চার জায়গা। মুক্তমতকে অবদমন করা হলে দেশ এগোয় না। এখানে যেন হিন্দি গান, ইংরেজি গান কিংবা হিন্দি সিরিয়ালের চর্চা না হয়। আমাদের আবহমান সংস্কৃতির অবাধ চর্চা রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার ৫৬তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার অনেক অম্লমধুর সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। অফিস, পার্লামেন্ট বাদ দিয়ে তাই আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছি। পুরনো গাছ, স্থাপনা, ইমারতগুলা অক্ষুণ্ণ আছে। কিন্তু হারিয়ে গেছে আমার বন্ধুরা। আবার যদি সেই পুরনো দিন ফিরে পেতাম।

তিনি বলেন, ৮৭-৮৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর একবার আমাকে চাকসুর সামনে থেকে অপহরণ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমাকে মেরে ফেলার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। একুশে গ্রেনেড হামলার দাগ যেমন আমার শরীরে আছে, তেমনি এখানকার অনেক আঘাতের দাগও রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তিনি বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়, গত ৫৫ বছরের পথচলায় দেশ গঠন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। সারা বিশ্বময় এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ছড়িয়ে আছে। শিক্ষা, গবেষণা, নোবেলপ্রাপ্তি থেকে শুরু অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপ উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ, প্রফেসর ড. বদিউল আলম, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দীন, মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান।

অনলাইনে সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহিবুল আজিজ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর শামসুদ্দীন আহমেদ, প্রফেসর আলাউদ্দীন আহমেদ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, প্রক্টরবৃন্দ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *