আগামীকাল আসছে চুক্তির ৫০ লাখ ভ্যাকসিন
ভারত থেকে সরকারিভাবে কেনা ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সোমবার দেশে আসবে। সরকারের চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ নামের করোনা ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল (২৫ জানুয়ারি) চুক্তি অনুযায়ী আরো ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। আগের উপহারের ২০ লাখসহ এই ৭০ লাখ ভ্যাকসিন রাখা ও বিতরণের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি টিকা আসবে।
পরবর্তী ধাপে আসা টিকা ঢাকাসহ দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোথায় কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেটিও ঠিক করা আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নার্সদের থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ভ্যাকসিন কীভাবে প্রয়োগ করা হবে সেজন্য আমাদের জাতীয় কমিটি আছে। তারা এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে কিছু কথাবার্তা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে। অনেক ওষুধেই তো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই এ ভ্যাকসিনে যে সেটি হবে না, তা বলতে পারছি না। তবে করোনা ভ্যাকসিনে যদি কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেজন্য আমরা প্রতিটি হাসপাতালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছি।
টিকা নেওয়ায় মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত ও আগ্রহী করা হবে, জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো ভ্যাকসিন বিশ্বে রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। এসব ভ্যাকসিন থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তুলনামূলক কম হয়েছে। ভারত ও যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে। তাই এ ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগে ফ্রন্টলাইনারদের ভ্যাকসিন দেবো। পর্যায়ক্রমে যাদের ভ্যাকসিন লাগবে তাদের সবাইকে দেওয়া হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি কেউ বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন দিতে চায়, সে বিষয়ে আমরা পরে দেখব।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।
এরপর ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে করোনা টিকা দেওয়া হবে।
এছাড়া আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই ৫০ লাখ টিকা প্রথম দফায় ৫০ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে।
গত ২০ জানুয়ারি দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সেরাম থেকে অক্সফোর্ড-অ্যস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন দেশে সরবরাহ করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More