Main Menu

সিলেটে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পেশাজীবী সংগঠনসমূহের কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সিলেট প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। সাংবাদিকরা যেমন সমাজ দেশের উন্নয়নে তাদের লেখনির মাধ্যমে কাজ করেন। আমরাও দেশ-সমাজ ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করে থাকি। তবে আমাদের কাজের পদ্ধতি একটু ভিন্ন। সবাইকে সাথে নিয়েই সিলেটের উন্নয়ন করতে চাই।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে সু-সম্পর্ক আমাদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড সাংবাদিকদের মাধ্যমেই তুলে ধরতে চাই। তাই সাংবাদিকদের সাথে জেলা প্রশাসনের তথ্য আদান প্রদান হলে উভয়ের জন্যই ভালো।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমি সিলেটে যোগদানের পরপরই এখানকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে শিক্ষামন্ত্রী দেখছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করব।

বিষয়টির খুব শিগগিরই সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তাঁর কর্মকালীন সময়ে সবার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান ও সিলেটের উন্নয়ন করার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সিলেটে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশু ও শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা প্রদান দু-একদিনের মধ্যে নিশ্চিত হবে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন বাস টার্মিনালসহ সকল জনসমাগম স্থলে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত আছে।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ তাঁর বক্তব্যে সিলেটে সরকারিভাবে যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে সেগুলো অব্যাহত রাখতে এবং শাবিপ্রবির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় নিয়ে ওই সমস্যাটি সমাধানে জেলা প্রশাসকের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, শাবিপ্রবিতে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে তা সিলেটের স্বার্থেই অবিলম্বে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এতে জেলা প্রশাসনকে এগিয়ে আসা উচিত। জেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শাবিপ্রবির অচলাবস্থার অবসানে আমাদের সাধারণ সম্পাদক একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আন্দোলনের তৃতীয় দিনে গিয়েছিলেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া না দেওয়ায় তা নিয়ে আমরা বেশিদূর এগুতে পারিনি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *