হাইকোর্টে রায়হানের মা’র আবেদন
সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক তদন্ত চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনে পক্ষভুক্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। রোববার (১ নভেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন জানানো হয়।
আদালতের সালমা বেগমের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) রায়হানের মা সালমা বেগম আমাদের রিটে পক্ষভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার (২ নভেম্বর) এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।’
গত ১১ অক্টোবর রাতে সিলেটের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদের মৃত্যুর আগে নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ আকবর হোসেনের নেতৃত্বে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে পুলিশের কয়েকজন সদস্য। ফোনে পরিবারের সদস্যদের টাকা নিয়ে আসতে বলেন রায়হান। গত ১১ অক্টোবর সকালে ৫ হাজার টাকা নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে জানতে পারেন, অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে শোনেন রায়হান মারা গেছেন।
পরে এই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে প্রকাশিত সেসব সংবাদ সংযুক্ত করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং অভিযুক্ত এসআই আকবরকে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এদিকে, সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতনের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ আকবর হোসেনের নেতৃত্বে এ নির্যাতন চালানো হয়। ইনচার্জসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। আকবরসহ ৪ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রায়হানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে এসএমপির উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির একটি সূত্র জানায়, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ সে সময় দায়িত্বে থাকা ৭ পুলিশ সদস্যকে। ইনচার্জ আকবর প্রথমে রায়হানকে ফাঁড়িতে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। পরে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটি। সেই ফুটেজ দেখানোর পর সবাই মুখ খুলতে শুরু করেন।
Related News
কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব
সিলেট সদর উপজেলার ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকারRead More
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তে অভিযান মিললো আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ফের ভারতীয় চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশRead More

