Main Menu

কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট ৪ লেন সড়কের কাজের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘এক সময় মনে হতো- টানেল বা পাতাল সড়ক নির্মাণ করা ধনী দেশ ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব না। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন যে- আমরাও পারি। তাই, দেশের মানুষকে বলবো, শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রাখেন, আরও উন্নয়ন হবে।’
তিনি আজ শনিবার বিকেলে সিলেটে বিমানবন্দর-বাদাঘাট-কুমারগাঁও চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সড়ক ও জনপথ সিলেটের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি জাতীয় মহাসড়ক, অর্থাৎ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৭২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় সড়কে ২টি সেতু ও ২৪টি কালভার্ট নির্মাণ হবে। পাশাপাশি ২টি ইন্টারসেকশন, ৬টি বাসবে, একটি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন এবং প্রায় পুরো সড়কে থাকবে ফুটপাতসহ ড্রেন।
সকড়টি নির্মাণ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘সড়কটি চার লেন হলে কেবল সদর উপজেলা নয়, সিলেট শহর এবং বিমানবন্দরে আসা এ অঞ্চলের সব মানুষের উপকার হবে। শহরে ট্রাক ঢুকবে না। যানজট কমবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার জনগণের মঙ্গল চায়। তাই, জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে এই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
প্রাকৃতিক বন্যা ও জলাশয় রোধে সড়কটি নির্মাণে নেওয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক নির্মাণে কালভার্ট কম হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। পানি নামতে পারে না। এখানে ১২ কিলোমিটারে ২৪টি কালভার্ট থাকায় সুবিধা হবে।’
সময়মতো রাস্তার কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। ঠিক সময়ে কাজ শেষ করার প্রয়োজন। আমার ইচ্ছে ছিল ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার। তবে, সড়কের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়ায় সময় চলে গেছে।’
দেশের মধ্যে সিলেটের সড়ক ব্যবস্থা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে, ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আম্বরখানা-টুকেরবাজার সড়কটিও চার লেন হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে আরসিসি ঢালাই করে এ সড়কটির কাজ শেষ হবে। যতগুলো রাস্তা আছে সেগুলো উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭শ কোটি টাকা। রাস্তাঘাটের কষ্ট ইনশাআল্লাহ দূর হবে।’
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী পুরনো ক্বিন ব্রিজের পাশে সুরমা নদীর উপর আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ক্বীন বিজ্রটি অনেক পুরনো। যান চলাচল করতে পারে না। তাই, এটি অক্ষত রেখে ঠিক পাশে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্ল্যান মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। এতে নগরের যানজট অনেকটা কমে আসবে।’
সিলেটের তেমুখি পয়েন্টে দৃষ্টিনন্দন করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এই পয়েন্টকে আবুল মাল আবদুল মুহিত চত্বর ঘোষণা করেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি দৃষ্টিনন্দন করা হবে।’
বাদাঘাট এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন করার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে ৮টি ফায়ার স্টেশন করেছি। এই এলাকায় কেন নেই তা জানি না। এখানেও ফায়ার স্টেশন হবে। আপনাদের দাবি যা থাকবে তা আমরা করে দেবো।’
সম্প্রতি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সরকার নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছে। জিনিসপত্রের দাম বৈশ্বিক কারণে বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণে রাখার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘এক সময় মনে হতো- টানেল বা পাতাল সড়ক নির্মাণ করা ধনী দেশ ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব না। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন যে- আমরাও পারি। তাই, দেশের মানুষকে বলবো, শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রাখেন, আরও উন্নয়ন হবে।’
তিনি আজ শনিবার বিকেলে সিলেটে বিমানবন্দর-বাদাঘাট-কুমারগাঁও চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সড়ক ও জনপথ সিলেটের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি জাতীয় মহাসড়ক, অর্থাৎ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৭২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় সড়কে ২টি সেতু ও ২৪টি কালভার্ট নির্মাণ হবে। পাশাপাশি ২টি ইন্টারসেকশন, ৬টি বাসবে, একটি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন এবং প্রায় পুরো সড়কে থাকবে ফুটপাতসহ ড্রেন।
সকড়টি নির্মাণ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘সড়কটি চার লেন হলে কেবল সদর উপজেলা নয়, সিলেট শহর এবং বিমানবন্দরে আসা এ অঞ্চলের সব মানুষের উপকার হবে। শহরে ট্রাক ঢুকবে না। যানজট কমবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার জনগণের মঙ্গল চায়। তাই, জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে এই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
প্রাকৃতিক বন্যা ও জলাশয় রোধে সড়কটি নির্মাণে নেওয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক নির্মাণে কালভার্ট কম হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। পানি নামতে পারে না। এখানে ১২ কিলোমিটারে ২৪টি কালভার্ট থাকায় সুবিধা হবে।’
সময়মতো রাস্তার কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। ঠিক সময়ে কাজ শেষ করার প্রয়োজন। আমার ইচ্ছে ছিল ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার। তবে, সড়কের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়ায় সময় চলে গেছে।’
দেশের মধ্যে সিলেটের সড়ক ব্যবস্থা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে, ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আম্বরখানা-টুকেরবাজার সড়কটিও চার লেন হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে আরসিসি ঢালাই করে এ সড়কটির কাজ শেষ হবে। যতগুলো রাস্তা আছে সেগুলো উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭শ কোটি টাকা। রাস্তাঘাটের কষ্ট ইনশাআল্লাহ দূর হবে।’
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী পুরনো ক্বিন ব্রিজের পাশে সুরমা নদীর উপর আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ক্বীন বিজ্রটি অনেক পুরনো। যান চলাচল করতে পারে না। তাই, এটি অক্ষত রেখে ঠিক পাশে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্ল্যান মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। এতে নগরের যানজট অনেকটা কমে আসবে।’
সিলেটের তেমুখি পয়েন্টে দৃষ্টিনন্দন করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এই পয়েন্টকে আবুল মাল আবদুল মুহিত চত্বর ঘোষণা করেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি দৃষ্টিনন্দন করা হবে।’
বাদাঘাট এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন করার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে ৮টি ফায়ার স্টেশন করেছি। এই এলাকায় কেন নেই তা জানি না। এখানেও ফায়ার স্টেশন হবে। আপনাদের দাবি যা থাকবে তা আমরা করে দেবো।’
সম্প্রতি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সরকার নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছে। জিনিসপত্রের দাম বৈশ্বিক কারণে বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণে রাখার।’সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হিরণ মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্যাবধায়ক প্রকৌশলী ও কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কের প্রকল্প পরিচালক উৎপল সামন্ত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাশ, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে, মন্ত্রী সিলেট কুমারাগাঁও-বিমানবন্দর চার লেন বাইপাস সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *