Main Menu

সন্তান হত্যাকারী সকল আসামীদেরকে গ্রেফতারের দাবী করে পুলিশ সুপার বরাবরে এক মায়ের অভিযোগ

সন্তানকে গুম করে হত্যাকারী সকল আসামীদের গ্রেফতার ও কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন আহমদ এর বরাবরে ২৯ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেছেন ফরিদা বেগম নামের এক অসহায় মা।

লিখিত অভিযোগে পাওয়া যায় গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার লামাপাড়া গ্রামের ৬ বছরের সামিউল নামের এক শিশু নিখুজ হয়। ৩ দিনের মাথায় পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় শিশু সামিউল এর মা শিশুর পিতা আব্দুল করিম, সতিনের মেয়ের জামাই জামাল মিয়া, দুলাল আহমদ, তেরা মিয়া, সতিনের মেয়ে সেলিনা বেগম, সোলেমান মিয়া, ফখরুল মিয়া, ছবির মিয়া, শওকত মিয়া, ছমরু মিয়া, সতিন ছায়ারুন বেগমকে দায়ী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৭/২২৭। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে স্বামী আব্দুল করিম, মেয়ের জামাই জামাল মিয়া, দুলাল মিয়া ও সেলিনা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে দুলাল মিয়া ও সেলিনা বেগম জামিনে বেরিয়ে আসে আর স্বামী আব্দুল করিম ও মেয়ের জামাই জামাল মিয়া এখনও জেলে রয়েছেন। অভিযোগে ফরিদা বেগম উল্লেখ করেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে স্বামী ও সতিনের মেয়ের জামাই মিলে শিশু সামিউলকে গুম করে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। গ্রেফতারের পর আসামীরা পুলিশের কাছে শিকারুক্তি দিয়েছে।

ফরিদা অভিযোগে বলেন, ১১ মাস পূর্বে মামলার ৮ ও ৪ নং আসামীদের প্ররোচনায় মৌখিক ভাবে স্বামী আব্দুল করিম তাঁকে তালাক দেন। এর পর গ্রামের সালিশানদের সিদ্ধান্তে স্বামীর বাড়িতে আলাদা ঘরে ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু সতিন ও তার মদদ দাতারা তার বিরুদ্ধে নানা কৌশলে ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো ফরিদাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা। এখনো তিনি নানা হুমকির মধ্যে রয়েছেন। এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানায় আরো একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি যার নং ৩৫২।

লিখিত অভিযোগে ফরিদা পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে বলেন, কলিজার টুকরো সন্তানকে পিতার সামিলে হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতের যোগকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর যখন তার সন্তান সামিউল নিখুজ হয় তখন নিকটস্থ পুলিশ ফাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে ফাড়ি ইঞ্চার্চ শফিকুল ইসলাম গুরুত্ব দেননি। তখনই গুরুত্ব দিলে তার সন্তানকে হয়তো জীবিত পাওয়া যেত। সন্তান হারা মা ফরিদা বেগম বলেন, তিনি অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছেন। বিবাদীরা প্রভাবশালী। তাদের প্রভাব ও শক্তির বলে ভয় হচ্ছে প্রশাসনকে কি না ম্যানেজ করে ফেলে। ২ জন আসামী বের হয়ে পড়েছে। বাকিরাও যদি বেরিয়ে যায় তাহলে সন্তান হত্যার বিচার অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সুতরাং মানবিক পুলিশ সুপারের সু- দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি। বাকী সকল আসামীদেকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে ভবিষ্যতে এধরনের জঘন্য কাজ আর কেহ করতে সাহস পাবেনা। এবং আর কোন মায়ের বুক খালি হবেনা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *