Main Menu

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি এমপি হলেন সিলেটী ফয়ছল

স্কটিশ পার্লামেন্টে এই প্রথম একজন বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়ে গ্রেট ব্রিটেনে বাঙালির মুখ উজ্বল করলেন। তিনি সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের বদরদি গ্রামের সন্তান ফয়ছল চৌধুরী এমবিই। গেল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্কটল্যান্ডের লোদিয়ান রিজিওন্যাল লিস্ট প্রার্থী হিসেবে স্কটিশ লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফয়ছল চৌধুরী। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

ফয়ছল হোসেন চৌধুরীর জন্ম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বদরদি গ্রামে। বাবা মরহুম গোলাম রব্বানী চৌধুরী। মা-বাবার সঙ্গে কিশোর বয়সে আশির দশকে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। প্রথমে ম্যানচেস্টার এবং পরে এডিনবরায় বসবাস শুরু করেন।

ইকুয়ালিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইট অ্যাকটিভিস্ট ফয়ছল চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে লেবার পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। লেবার পার্টি থেকে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট মিনস্টার পার্লামেন্ট নির্বাচনে এডিনবরা সাউথওয়েস্ট আসনে লড়াই করেন ফয়ছল চৌধুরী। এ ছাড়া ২০১৪ সালে স্কটিশ রেফারেন্ডাম চলাকালীন ‘বাংলাদেশিজ ফর বেটার টুগেদার ক্যাম্পেইন’-এর সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি। ঐতিহাসিক গণভোট এবং অন্যান্য মূলধারায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিকে যুক্ত করতে রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।

ফয়ছল চৌধুরীর বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে সেই তরুণ বয়সেই পরিবারের হাল ধরেন ফয়ছল চৌধুরী। তখন থেকেই যুক্ত রয়েছেন পারিবারিক ক্যাটারিং ব্যবসায়।

ব্যবসার পাশাপাশি পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী তরুণ বয়সেই শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এডিনবরা অ্যান্ড লোদিয়ান রিজিওন্যাল ইকুয়ালিটি কাউন্সিলের (এলরেক) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিভিন্ন সংখ্যালঘু কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য ২০০৪ সালে ব্রিটেনের রানি কর্তৃক ‘এমবিই’ খেতাবে ভূষিত হন তিনি। গোলাম রব্বানী চৌধুরীর দুই ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে ফয়সল চৌধুরী প্রথম।

লন্ডনে বসবাসরত ফয়সল চৌধুরীর চাচা বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা শামীম চৌধুরী বলেন, ফয়সল চৌধুরী তার চাচা প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সদ্য প্রয়াত গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ও মামা ড. ওয়ালী তছর উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় রাজনীতি ও কমিউনিটি সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *