Main Menu

পাপুলের রায়ের অনুলিপি সংসদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড ও ১৯ লাখ ৭০ হাজার কুয়েতি দিনার (৫৫ কোটি টাকা) জরিমানার সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলের বিরুদ্ধে রায়ের অনুলিপি পেয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা পাপুলের বিরুদ্ধে রায়ের ৬১ পৃষ্ঠার আরবি ও ইংরেজি অনুলিপি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে সংসদের স্পিকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সেগুলো পাঠিয়েছি। তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।’

রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে নারী ও ই-বাণিজ্য ফোরাম আয়োজিত ‘ডব্লিউই কালারফুল ফেস্ট-২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো তাদেরও পূর্ণ রায় লিখতে এবং তা আদালত থেকে নিশ্চিত করতে দীর্ঘ সময় লাগে। গণমাধ্যম প্রায়ই আমাদের এটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় আমরা প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। মাননীয় স্পিকারও (জাতীয় সংসদের) আমাদের ডেকেছেন, তাই আমরা কুয়েতে আমাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে রায়ের অনুলিপি দ্রুত পেতে একজন আইনজীবী নিযুক্ত করেছিলাম।’

‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেটি পাওয়ার পরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্পিকারের কাছে পাঠিয়ে দেয়,’ বলেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পাপুলকে গত বছরের ৬ জুন কুয়েতের ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ গ্রেপ্তার করে।

তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে ও তার প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে কুয়েতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে লাখ লাখ ডলার অবৈধ অর্থ লেনদেন, অর্থপাচার, কর্মসংস্থান সম্পর্কিত জালিয়াতি ও আবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়।

পাপুলের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ, নাওয়াফ আল-মুতাইরি, হাসান আল-খাদের এবং পাপুলের সহযোগী বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

আরবি ভাষার সংবাদপত্র আল কাবাসের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস জানিয়েছে, পাপুল কুয়েতে আনুমানিক ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার মূল্যমানের সম্পদ অর্জন করেছেন। তদন্তকালে তার ও তার প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘পাপুল কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে কোনো আইনি সহায়তা চাননি।’

‘তিনি সেখানে ব্যবসায়ী হিসেবে থাকতেন। তার কোনো কূটনীতিক পাসপোর্ট ছিল না। তিনি কুয়েতে আমাদের মিশনের কাছে কোনো সহায়তাও চাননি। কারণ, সেখানে তার নিজেরই বেশ ভালো অবস্থান ছিল,’ যোগ করেন আব্দুল মোমেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *