Main Menu

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিলেট স্টেশন ক্লাবের কর্মসূচিতে থাকছেন ৩ মন্ত্রী

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিলেট স্টেশন ক্লাব। প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে ১৯ মার্চ। ৩ দিনের এ কর্মসূচির প্রতিদিন সিলেট অঞ্চলের ৩ জন মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। বুধবার দুপুরে ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর ক্লাবটির যাত্রা শুরু হয়। বৃটিশরা চলে যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে এর দায়িত্বগ্রহণ করেন সিলেটের ৯ জন বিশিষ্ট ব্যাক্তি। শুধু বিনোদনই নয়, আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং মানবিক উদ্যোগের সাথে এ ক্লাব ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবছর শীতবস্ত্র, অসচ্ছল ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হুইল চেয়ার, সরকারি শিশু সদনে খাবার বিতরণসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুলে নিয়মিত অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক্লাবের পক্ষ থেকে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্বের ৩ দিনের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ১৯ মার্চ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, তথ্যচিত্র প্রদর্শণী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৯ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থত থাকবেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। এদিনের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচন, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিন ২০ মার্চের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি। এদিনের অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। সিলেটের সংগঠন মৃত্তিকায় মহাকাল পরিবেশন করবে আবার আসিবে প্রমিথিউস ও নৃত্যশৈলি পরিবেশন করবে নৃত্যনাট্য দ্রোহকাল। শেষদিন ২১ মার্চ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এদিনের অনুষ্ঠান সূচিতে আছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষ দিনের প্রধান আকর্ষণ দেশের বিখ্যাত গানের সংগঠন জলের গানের পরিবেশনা। সদর উদ্দিন আহমদ বলেন, বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আরো আছে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর, ৭ জুন ৬ দফা ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে থাকবে নানা আয়োজন। এছাড়াও ক্লাবের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হবে। এবারের বিজয় দিবসও পালন করা হবে অত্যন্ত জমকালোভাবে। এসব কর্মসূচিতে গণমাধ্যম কর্মীদের অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আবু বকর হিরন, অর্থ ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য দেলোয়ার জাহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য এনায়েত আহমদ, ক্লাবের উন্নয়ন ও আবাসিক বিভাগের সদস্য নেহাল মোহাম্মদ হাসনাইন, ক্রীড়া বিভাগের সদস্য রাফি ইবরাহিম, বিনোদন বিভাগের সদস্য সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, সাংস্কৃতিক বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ, আপ্যায়ন বিভাগের সদস্য মুফতি এএস শামীম আহমদ, মহিলা উপ পরিষদের আহ্বায়ক জানিজ ফাতেমা শারমিন, স্থায়ী সদস্য নিজাম উদ্দিন লস্কর, অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মশাহিদ আলী, আহমেদ নুর, সুব্রত পুরকায়স্থ ও গৌতম চক্রবর্তী






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *