Main Menu

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সাংবাদিকদের এগোতে হবে: এম এ মান্নান

সিলেটে একটি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।
তিনি বলেন, আমার সহকর্মী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ সিলেটের অন্য যারা মন্ত্রী আছি, সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিলেট প্রেসক্লাবের সদ্য প্রাক্তণ সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, সিলেট ‘বঙ্গবন্ধু’র নামে একটি পার্ক স্থাপনের বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণ করলে আমরা তাতে সায় দেব।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়কও হবে। তিনি জানান, এ প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। পরিবেশ ‘সফট’ হলে এ প্রকল্প পাস করা হবে।
সিলেটের উন্নয়নে সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী, এম সাইফুর রহমান, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের নামোল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রেরণা আমার উন্নয়নের শক্তি-সাহস বাড়িয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বক্তব্য রাখেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই.ইউ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর নির্বাহী সম্পাদক ও গবেষক আব্দুল হামিদ মানিক, সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু, বিশিষ্ট সাংবাদিক আ ফ ম সাঈদ, ওকাস সভাপতি সাংবাদিক খালেদ আহমদ ও ইলেকট্রনিক জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ইমজা) সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জনপদ সিলেট। সেই সাফল্যপথে শাণিত ভূমিকা রাখছেন এ অঞ্চলের সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে অন্যতম মহৎ পেশা সাংবাদিকতা। সিলেটের সাংবাদিকরা অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের মহৎ পেশার জন্য সামাজিক যে বিবর্তন এসেছে সেখানে সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন সাংবাদিকরা। ফলে সিলেট শিক্ষা সংস্কৃতিসহ জীবন ঘনিষ্ট সবকিছু উর্বর। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। কাজেই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সাংবাদিকদের এগোতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতা-প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী। তিনি বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইনকে যুগোপযোগী করেছে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে।
সিলেট প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথিকে সিলেটের উন্নয়নে পুরোধা ব্যক্তিত্ব আখ্যায়িত করে বলেন, সিলেটের উন্নয়নে তিনি আন্তরিক। যখনি নগরের উন্নয়নে তাঁর কাছে গিয়েছি, সহজে সেগুলো পেয়েছি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সিলেটের উন্নয়নে কখনো কার্পণ্য করেননি।
তিনি বলেন, প্রধান অতিথি সিলেট উন্নয়নের পাশাপাশি সিলেট প্রেসক্লাবের উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ উন্নয়ন ধারবাহিক রাখতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন মেয়র।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, সিলেট ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও অনন্য অবদান রেখেছে। সেখানে সাংবাদিকদের ভুমিকা ছিলো উল্লেখযোগ্য। তিনি সিলেট প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানসহ বছরের শুরুতে বেশ কয়েকটি নতুন সংগঠনের নতুন দায়িত্বগ্রহণকে চারপাশে নতুনের আবাহন উল্লেখ করে সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে একইভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, সিলেটের সাংবাদিকদের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। সিলেটের উন্নয়নে যতগুলো ন্যায়সঙ্গত এবং জনবান্ধব আন্দোলন হয়েছে সেখানে তারা ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছেন। সেখানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেখানেও তারা সুন্দর সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। এ সময় তিনি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সিলেট প্রেসক্লাবের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে তারা সবসময় ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছেন।
নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সিলেট প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখবে। তাদের বলিষ্ট নেতৃত্বে সিলেটের উন্নয়ন আরো সুন্দর হবে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক, দৈনিক সিলেটের ডাক’র নির্বাহী সম্পাদক আবদুল হামিদ মানিক বলেছেন, দেশে প্রচুর সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। প্রযুক্তির ভিড়ে প্রিন্ট মিডিয়ার আধিপত্য কমে আসছে। অন্যদিকে সাংবাদিকরাও বাড়ছে। প্রযুক্তির এই সময়ে এসে প্রিন্ট মিডিয়ার প্রয়োজন তবুও ফুরিয়ে যায়নি। দিনশেষে মানুষ সংবাদপত্রের ভেতর তার স্বপ্নকে তালাশ করে।
তিনি বলেন, সিলেটের সাংবাদিকতার সোনালী ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের পথ ধরে এগিয়ে যাবে নতুন কমিটি।
সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিকতা পেশার সম্মান, মর্যাদা বেড়েছে। সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে চ্যালেঞ্জ। সেই পথে বড় চ্যালেঞ্জিং হয়ে সামনে এসেছে অনলাইন সাংবাদিকতা।
তিনি বলেন, সিলেটের সাংবাদিকতার জগতটি অনেক প্রসারিত হয়েছে। সেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের ঐতিহ্য রক্ষায় সর্বোচ্চ সততার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন সাংবাদিকরা। একই সাথে সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণেও তারা আন্তরিক।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিলেটের সাংবাদিকতার ইতিহাস উজ্জ্বল। সবকটি মৌলিক আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের উন্নয়নে অনন্য নজীর তৈরী করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তাঁর নেতৃত্বে প্রেসক্লাব আগামীতেও পুর্ণাঙ্গতা পাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন শ্যামানন্দ দাস।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *