Main Menu

ওসমানীনগরে শতাধিক বছর প্রাচীন খেলার মাঠ দখল নিয়ে উত্তেজনা

ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর পুরানবাজার সংলগ্ন সরকারী রেকর্ডকৃত শতাধিক বছরের প্রাচীন ফুটবল খেলার মাঠ দখল নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিনের খেলার মাঠ দখল হওয়ায় অপর পক্ষ মাঠে গেলে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসিকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসি ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২২ ডিসেম্বর রোববার ভোর রাতে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর পশ্চিম পাড়া নিবাসি যুক্তরাজ্য প্রবাসি মকদ্দুছ আলী গংদের নেতৃত্বে প্রায় সাড়ে ৩ একর মাঠের মধ্যখানে আইল দিয়ে এবং খেলার পাকা স্থায়ী গোলবার তুলে ফেলে মাঠটি নিজেদের দখলে নেন। এসময় তারা মাঠে আইল দিয়ে পানি সেচ করেন। পাওয়ার ট্রিলার লাগিয়ে চাষ দিয়ে ধানের চারা রোপণের জন্য চারা ফেলে রাখেন। সকালে একই গ্রামের পূর্ব পাড়ার লোকজন মাঠে গিয়ে দেখেন পুরাতন মাঠের ফুটবল খেলার পাকা গোলবার উধাও। দীর্ঘকালের পুরাতন মাঠটি চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। তখন খাদিমপুর পূর্বপাড়ার লোকজন ও এলাকার ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় উমরপুর ইউপি’র জনপ্রতিনিধিগণ এবং ওসমানীনগর থানার পুলিশসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাঠটি পরিদর্শন করেন।
খাদিমপুর পূর্বপাড়া নিবাসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাঠের জমি আমাদের এলাকার লোকজনের মালিকানাধীণ হলেও বর্তমানে বিএস এবং আরএস রেকর্ডে এটি ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে এসেছে। মুরব্বীদের মুখে শুনেছি আমাদের বাপ দাদারাও এ মাঠে খেলাধুলা করেছেন। এলাকার ক্লাব কর্তৃক মাঠে মিনিবারের ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ থাকায় একটি মহল মিনিবারের খেলা আয়োজন করতে পারেনি। তাই তারা গ্রামের একটি অংশকে দিয়ে মাঠ দখল করিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে আমি গত ১৯ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো।
স্থানীয় উমরপুর ইউপি সদস্য ও খাদিমপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিক জানান, কিছুদিন আগে একটি মহল ৩জনের মিনিবারের খেলা দিয়ে বাণিজ্য করতে চেয়েছিল। এলাকার ক্লাব কর্তৃক মাঠে মিনিবারের খেলা নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে মাঠ দখল করে নিয়েছে।
খাদিমপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ মুরব্বী আ’লীগ নেতা সায়মন আলী জানান, মাঠে পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মালিকানাধীন ভূমি রয়েছে। মাঠটি শতাধিক বছরের পুরাতন হওয়ায় বিএস এবং আরএস রেকর্ডে ফুটবল মাঠ হিসেবে এসেছে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন মাঠটি বেদখল হয়েছে। এতে এলাকার ক্রীড়াঙ্গণের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
খাদিমপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় উমরপুর ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ ছইল জানান, এলাকার মালিকানাধীন জমিতে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘকাল ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। পূর্বপাড়ার লোকজন মালিকানাধীণ কিছু জমি আগেই দখলে নিয়েছেন এবং তাদের কিছু অংশ রয়েছে। পশ্চিমপাড়ার লোকজন গতকাল তাদের মালিকানার অংশ দখলে নিয়েছেন।
খাদিমপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মখদ্দুছ আলী জানান, খেলার মাঠে আমার ব্যক্তিগত ভূমি ছিল। আগে আমরা ব্যবহার করিনি তাই খেলা হয়েছে। এখন আমাদের ব্যবহারের প্রয়োজন তাই চাষের জমি বানিয়েছি।
স্থানীয় উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জানান, আমি বর্তমানে এলাকার বাইরে আছি। বিষয়টি শুনে পরিষদের সদস্যদের একটি টীম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। বিষয়টি বসে দেখার জন্য তাদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় নেয়া হয়েছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ রাশেদ মোবারক বলেন,খাদিমপুরে একটি খেলার মাঠ দখল নিয়ে দু’পক্ষের সৃষ্ট জটিলতা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তার কলেন,আমি বর্তমানে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মিটিংএ আছি। মিটিং থেকে বের হয়ে দপ্তরে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।
গণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসিকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসি ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২২ ডিসেম্বর রোববার ভোর রাতে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর পশ্চিম পাড়া নিবাসি যুক্তরাজ্য প্রবাসি মকদ্দুছ আলী গংদের নেতৃত্বে প্রায় সাড়ে ৩ একর মাঠের মধ্যখানে আইল দিয়ে এবং খেলার পাকা স্থায়ী গোলবার তুলে ফেলে মাঠটি নিজেদের দখলে নেন। এসময় তারা মাঠে আইল দিয়ে পানি সেচ করেন। পাওয়ার ট্রিলার লাগিয়ে চাষ দিয়ে ধানের চারা রোপণের জন্য চারা ফেলে রাখেন। সকালে একই গ্রামের পূর্ব পাড়ার লোকজন মাঠে গিয়ে দেখেন পুরাতন মাঠের ফুটবল খেলার পাকা গোলবার উধাও। দীর্ঘকালের পুরাতন মাঠটি চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। তখন খাদিমপুর পূর্বপাড়ার লোকজন ও এলাকার ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় উমরপুর ইউপি’র জনপ্রতিনিধিগণ এবং ওসমানীনগর থানার পুলিশসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাঠটি পরিদর্শন করেন।
খাদিমপুর পূর্বপাড়া নিবাসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাঠের জমি আমাদের এলাকার লোকজনের মালিকানাধীণ হলেও বর্তমানে বিএস এবং আরএস রেকর্ডে এটি ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে এসেছে। মুরব্বীদের মুখে শুনেছি আমাদের বাপ দাদারাও এ মাঠে খেলাধুলা করেছেন। এলাকার ক্লাব কর্তৃক মাঠে মিনিবারের ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ থাকায় একটি মহল মিনিবারের খেলা আয়োজন করতে পারেনি। তাই তারা গ্রামের একটি অংশকে দিয়ে মাঠ দখল করিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে আমি গত ১৯ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো।
স্থানীয় উমরপুর ইউপি সদস্য ও খাদিমপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিক জানান, কিছুদিন আগে একটি মহল ৩জনের মিনিবারের খেলা দিয়ে বাণিজ্য করতে চেয়েছিল। এলাকার ক্লাব কর্তৃক মাঠে মিনিবারের খেলা নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে মাঠ দখল করে নিয়েছে।
খাদিমপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ মুরব্বী আ’লীগ নেতা সায়মন আলী জানান, মাঠে পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মালিকানাধীন ভূমি রয়েছে। মাঠটি শতাধিক বছরের পুরাতন হওয়ায় বিএস এবং আরএস রেকর্ডে ফুটবল মাঠ হিসেবে এসেছে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন মাঠটি বেদখল হয়েছে। এতে এলাকার ক্রীড়াঙ্গণের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
খাদিমপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় উমরপুর ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ ছইল জানান, এলাকার মালিকানাধীন জমিতে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘকাল ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। পূর্বপাড়ার লোকজন মালিকানাধীণ কিছু জমি আগেই দখলে নিয়েছেন এবং তাদের কিছু অংশ রয়েছে। পশ্চিমপাড়ার লোকজন গতকাল তাদের মালিকানার অংশ দখলে নিয়েছেন।
খাদিমপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মখদ্দুছ আলী জানান, খেলার মাঠে আমার ব্যক্তিগত ভূমি ছিল। আগে আমরা ব্যবহার করিনি তাই খেলা হয়েছে। এখন আমাদের ব্যবহারের প্রয়োজন তাই চাষের জমি বানিয়েছি।
স্থানীয় উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জানান, আমি বর্তমানে এলাকার বাইরে আছি। বিষয়টি শুনে পরিষদের সদস্যদের একটি টীম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। বিষয়টি বসে দেখার জন্য তাদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় নেয়া হয়েছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ রাশেদ মোবারক বলেন,খাদিমপুরে একটি খেলার মাঠ দখল নিয়ে দু’পক্ষের সৃষ্ট জটিলতা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তার কলেন,আমি বর্তমানে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মিটিংএ আছি। মিটিং থেকে বের হয়ে দপ্তরে গিয়ে বিষয়টি দেখবো। এটি মানবাধিকার অফিসে অভিযোগ দায়ের করলে সংস্থা থেকে অফিসিয়াল ভাবে ওসি এস পি কে অবগত করি






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *