Main Menu

নিখোঁজের ১ বছর পর বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ী কামাল আহমদের কঙ্কাল উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নিখোঁজের প্রায় ১ বছর পর বাড়ির পাশে ডুবায় মিললো কামাল আহমদ (৪০) নামে ব্যবসায়ীর কঙ্কালসার। হত্যার পর মরদেহ একটি ডুবায় ড্রামের ভেতরে গুম করে রেখেছিল ঘাতকরা। মঙ্গলবার (৭) জুলাই ঘাতক আমির উদ্দিনের দেখানো মতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের খলাগ্রামে বাড়ির পাশে কচুরিপনায় একটি ড্রাম থেকে কঙ্কালসারটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কামাল আহমদ বিয়ানীবাজারের চারখাই আদিনাবাদ গ্রামের মৃত রকিব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার আলীনগরে খলাগ্রামে নিজের করা আরেকটি বাড়িতে থাকতেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার দোকান কর্মচারি আমির উদ্দিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আমির উদ্দিন জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের রায়গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদ।

পুলিশ জানায়, উপজেলার চারখাই বাজারের কামাল ষ্টোরের সত্তাধীকারী ছিলেন কামাল আহমদ। তিনি দোকান কর্মচারী আমির উদ্দিনকে নিয়ে খলাগ্রামের বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ১০ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হন। ঘাতকরা ওই রাতেই তাকে হত্যা করে মরদেহ একটি ড্রামে ঢোকিয়ে বাড়ির পাশে একটি ডুবায় কচুরিপনার মধ্যে ফেলে দেয়। ব্যবসায়ী কামাল দোকানে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে দোকান কর্মচারী আমির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে সে একেক সময় একেক কথা বলে। এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী কামাল আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়কে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিনি দোকান কর্মচারী আমিরকে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। তার দেখানো মতে ব্যবসায়ীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, আমিরকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার বিকেলে ডুবুরীর সাহায্যে বাড়ির পাশে ডুবায় ড্রামের ভেতর থেকে ব্যবসায়ীর কঙ্কালসার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আমির স্বীকার করে টাকার লোভে কামালকে তারা হত্যার পর মরদেহ গুম করে।

এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া)মো. লুৎফর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী কামাল হত্যাকান্ডে ৬ জন জড়িত ছিল। এরমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত দোকান কর্মচারি আমির উদ্দিন জানায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে কামাল আহমদের দোকানের কর্মচারী ছিল। সে সময় কামাল আহমদের অগোচরে সিগারেট, মার্কস দুধ ও অন্যান্য ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেয়। ভিকটিম কামাল আহমদ উক্ত মালামালের টাকা আত্মসাতের জন্য আমির উদ্দিন, হেলাল আহমদ, আলী আকবর, আলীম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবের আহমদ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ১০ আগস্ট ব্যবসায়ী কামালকে কৌশলে অপহরণ করে। তারা তাকে আলীনগর ইউনিয়নের কনকলস বাড়িতে নিয়ে ইলেকট্রনিকের তার দিয়ে হাতপা বেধে হত্যা করে। এরপর মরদেহ প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে গুম করার জন্য পার্শ্ববর্তী ব্রিক ফিল্ডের ডুবার কচুরিপেনার নিচে লুকিয়ে রাখে বলে জানায়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *