Main Menu

দেশের প্রতিটি অভ্যুত্থানে শ্রমিকদের আত্মদান ফ্যাসিস্টের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে: খন্দকার মুক্তাদির

বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, এখনও প্রতিদিন শ্রমিক ছাঁটাই চলছে-বেকার হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিক। শ্রমিকের জীবনে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নেই। পতিত সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে সরকারি পাট ও চিনিকলগুলো বন্ধ করে হাজার হাজার শ্রমিককে পথে বসানো হয়েছে। তারা স্ত্রী সন্তানসহ অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। বই-খাতা ক্রয় করতে না পেরে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না।
তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিবৃতিতে তিনি আরোও বলেন, প্রচলিত নিয়মে ৫ বছর পর পর নূন্যতম মজুরি ও জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা হয়ে থাকলেও বিগত সরকারের সময়ে গত ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে নূন্যতম মজুরি ও জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। অথচ চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।
খন্দকার মুক্তাদির বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে মহান মে দিবস পালিত হবে। সদ্য বৈষম্যবিরোধী অভ্যুত্থানসহ দেশের প্রতিটি নৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে অগণিত শ্রমিকের আত্মদান ফ্যাসিস্টের পতনকে ত্বরান্বিত করে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৭১ জন নেতাকর্মী, ৩০ জন রিকশা শ্রমিক ও অসংখ্য নাম জানা-অজানা ভাসমান শ্রমিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন। শ্রমিক শ্রেণির আত্মত্যাগ কেউ কেউ স্বীকার করতে কার্পণ্য করেন। একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, ভোটাধিকার প্রয়োগ, শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছেন শ্রমিকরা। সরকারি বেসরকারী উভয় খাতের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন হোক এই মে দিবসের অঙ্গীকার।

 






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *