Main Menu

জেলা পরিষদ নির্বাচন : প্রতি কেন্দ্রে থাকবে ৭ জনের ফোর্স

মধ্যখানে আর মাত্র একদিন। আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এর মধ্যে সিলেট একটি।

তবে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ কারণে সিলেটে ভোটের আমেজ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এ দিন (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের পক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র প্রতি নিয়োজিত থাকবে ৭ জনের ফোর্স। ভোটের আগে-পরে থাকছেন পর্যাপ্ত সংখ্যায় নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

এছাড়াও নিয়োজিত থাকছে কয়েক প্লাটুন বিজিবি, কোস্টা গার্ড, র‌্যাব-এর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।

সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশের অস্ত্রসহ মোট ৩ জন, আনসারের অস্ত্রসহ ২ জন ও অঙ্গীভূত আনসারের ২জন, মোট ৭ জন নিয়োগ করা হবে। ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ১ দিন ও পরে ১ দিন, মোট ৩ দিন ভোটকেন্দ্রে ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

এক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব অনুসারে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পুলিশ সুপার, ক্ষেত্রবিশেষ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ফোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ :
জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলার জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ১টি মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং র‍্যাবের ১টি করে মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করতে হবে। তবে বাস্তব অবস্থা ও স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস/বৃদ্ধি করা যাবে। ফোর্সের ন্যূনপক্ষে ১টি দল ভোটকেন্দ্রের আশে পাশের এলাকায় নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা করবে। যতদূর সম্ভব মহিলা ভোটকক্ষের জন্য নারী ও পুরুষ ভোটকক্ষের জন্য পুরুষ অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ করতে হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট:
জেলা পরিষদ-২০২২ উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সিলেট জেলায় ১ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের আগের ২ দিন ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের ২ দিন অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য নিয়োজিত রাখা হবে।

বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট:
জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি-৮৬ এ বর্ণিত ক্ষমতাবলে এসব জেলা পরিষদের নির্বাচনী এলাকায় বিধি-৭২, ৭৪, ৭৫, ৭৬ ও বিধি-৭৭ এর উপ-বিধি (১) এবং বিধি-৭৮ এর অধীন নির্বাচনী অপরাধসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ধারা- ১৯০ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন বিচারার্থে আমলে নিয়ে বিচার সম্পন্ন করার জন্য সিলেটে ৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভোটগ্রহণের আগের ২ দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের ২ দিন অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর, থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫ দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজিবিআর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন:
বিজিবি/আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ১/২ টি প্লাটুন জেলা সদরে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদা ব্যতিরেকে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনাকক্ষে কোনো প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে না।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব):
সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ প্রবেশ/নির্বাচনের জন্য হুমকীস্বরূপ কোনো ব্যক্তি/বস্তুর যাতায়াত/চলাফেরা ইত্যাদি আইন অনুযায়ী রোধ করা, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে, নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তাকে সহায়তা করবে, রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদা ব্যতিরেকে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনাকক্ষে কোনো প্রকার দায়িত্ব নেবে না।

পুলিশ:
ভোটদানের জন্য ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, সে জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটসমূহ কর্তৃক নিবিড় টহল দানের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রধান কাজ। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব সরঞ্জাম ও দলিল দস্তাবেজ আনা নেওয়ার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচন কার্যালয়সমূহ, রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করা, স্থানীয় জননিরাপত্তা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সুশৃংখল লাইন করানোসহ স্থানীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, ভোটারদের জন্য আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *