Main Menu

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা দিলো সিসিক

সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনায়, সিলেটবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন মহাসড়ক ও সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য সিলেটের কৃতি সন্তান, সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপিকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২১) বেলা ৩ টায় সিলেট মহানগরীর রেজিষ্টারি মাঠে এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি’র উদ্দ্যেশে মানপত্র পাঠ করেন সিসিকের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমীন নাহার রুমা। পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মানপত্র, সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সংবর্ধনা স্মারক স্বর্ণের ‘নগর চাবি’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি’র হাতে তুলে দেন। এর আগে সিসিক মেয়র, কাউন্সিলররা সংবর্ধিত অথিতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মহানগরবাসির পক্ষ থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপিকে নাগরিক সংবর্ধনা দিতে পারায় গৌরবান্বিত মনে করছি।

সিলেটবাসির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ঢাকা-সিলেট ৬ লেন মহাসড়ক উন্নিত করণ এবং এর কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আয়তনের দিকে সিলেট মহানগর বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট সিটি কর্পোরেশন ছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপির ঐকান্তিক সহযোগিতায় সিলেট এখন আড়াইগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর আয়তন বৃদ্ধির ফলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন আগামীতে সরকারের কাছ থেকে অধিক বরাদ্ধ পাবে। ঐতিহাসিকি এই কাজে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ অবদানের জন্য সিসিক মেয়র কৃতজ্ঞতা জানান।

সিসিক মেয়র বলেন, নগরবাসির সুপেয় পানি সেবা নিশ্চিতের জন্য আরোকটি বৃহৎ প্রকল্প প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, যাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সিলেট মহানগরীর পানির চাহিদা শতভাগ পূরণ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আগামী মাসের মধ্যেই নাগরিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পানির বিল সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মান কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপির উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সিলেটের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের অবদানের কথা স্মরণ করেন সিসিক মেয়র।

মেয়র বলেন, সিলেট নগরীর চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়া প্রস্তাবিত আরো ৯টি প্রকল্প পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতায় অচিরেই পাশ হবে বলেই প্রত্যাশা করি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সিলেট একটি আধুনিক নগরের পরিনত হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতায় ভারতীয় সরকারের অনুদানের সিলেট নগরীরর উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের কথা তুলে ধরে সিসিক মেয়র বলেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির এই নগরীর উন্নয়নে দল মতে উর্ধ্ব উঠে সবাইকেই কাজ করতে হবে। সিসিকের উন্নয়নে নগরবাসির সার্বিক সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপির সহযোগিতায় করোনা মহামারির সংকটেও সিলেট সিটি কর্পোরেশন সর্বাধিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে। সিলেটের উন্নয়নে তাঁর এই অবদানের প্রতি সম্মান জানাতেই এই নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব নেতাদের বানীতে যার স্বীকৃতি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আমি তাঁর সরকারের একটি দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দেয়া এই নাগরিক সংবর্ধনা সরকারের উন্নয়ন যাত্রার প্রতি সম্মান দেখানো বলেই আমি মনে করি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিসিকের উন্নয়ন কাজের জন্য সরকার টাকা দিলে সেটা খরচ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার শর্ত সাপেক্ষে ১২শ ২৮ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এই বরাদ্ধ পেতে সিসিককে ৩০০ কোটি টাকা নিজস্ব ফান্ড থেকে দিতে হবে, যা তারা এর চেষ্টা করছেন।

মন্ত্রী বলেন, এই সিলেট আমাদের সকলের। সিলেটের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কে কোন দল করেন সেটা বিবেচ্য না। সিলেটের উন্নয়নে আমরা সবাই দল মতের উর্ধ্বে থেকে কাজ করবো। কেউ কেউ বলেন, সিসিকের উন্নয়নে এই প্রকল্প, এই কাজ করা ঠিক হবে না, কারণ মেয়র অন্য রাজনৈতিক দলের লোক। আমি বলি, সিলেট তো আমারও। এ নগরীর উন্নয়নে আমরা সবাই এক সাথে কাজ করবো।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমেদ, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ টি এম ফয়েজ এ্যাডভোকেট, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রসেক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক ও সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী।

নাগরিক সংবর্ধনায় সিসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *