Main Menu

মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে ১২৭ রান বাংলাদেশের, এলিসের হ্যাটট্রিক

টানা দুই ম্যাচ হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে অস্ট্রেলিয়ার। সিরিজ বাচাতে তৃতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। এ লক্ষ্যে শুক্রবার তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চাপে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেছেন নাথান এলিস।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। দলীয় স্কোরে ৩ রান যোগ হতেই নেই দুই উইকেট। বিদায় নেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই দফায় অল্পের জন্য রক্ষা পান সৌম্য সরকার। প্রথমটি ছিল স্টাম্পিং থেকে। পরের বলেই জীবন পান তিনি ক্যাচ হওয়া থেকে।

অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন জশ হেজলউড। ২ বলে ১ রান করেই আউট হন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। মিডল স্টাম্পে বলটি পিচ করে সিমে, হালকা সুইং করে বেরিয়ে যায়। এমন এক ডেলিভারিতেই নাঈম চেষ্টা করেন ব্যাটের মুখ পেতে দিয়ে থার্ডম্যানে খেলতে। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপার ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসে। আগের দুই ম্যাচে ৩০ ও ১ রানের পর এবার নাঈমের রান ২।

টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ সৌম্য সরকার। তৃতীয় ওভারে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পাকে আক্রমণে আনেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। প্রথম বলটিই সুইপ করার চেষ্টা করেন সৌম্য। বল আঘাত করে তার প্যাডে। অস্ট্রেলিয়ানদের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে বেশ কিছুক্ষণ ভেবে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।

সৌম্য রিভিউ নেন। তবে বাঁচতে পারেননি। আম্পায়ার্স কলে অটুট থাকে আউটের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের রিভিউ টিকে গেলেও টিকতে পারেননি সৌম্য। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১১ বলে ২ রান করে। সিরিজের আগের ২ ম্যাচে সৌম্যর রান ছিল ২ ও ০। প্রতিবারই আউট হন বাজে শটে।

এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। বেশ ভালোমতোই দেখেশুনে আগানো এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ছক্কার চেষ্টায় ব্যর্থ সাকিব। জ্যাম্পার ঝুলিয়ে দেয়া বল হাঁটু গেড়ে সোজা ব্যাটে উড়িয়ে মারেন। লং অফ থেকে সামনে এগিয়ে ক্যাচ নেন অ্যাশটন অ্যাগার। ১৭ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন সাকিব।

আগের দুই ম্যাচে দুটি কার্যকর ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন শুরু করেছিলেন এবারো। কিন্তু তাকে থামতে হলো ঝুঁকিপূর্ণ একটি সিঙ্গেলের চেষ্টায় রান আউট হয়ে। ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের বল কাভারে পাঠিয়েই রানের জন্য ছুটেন আফিফ। ঝাঁপিয়ে বল মুঠোয় নিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে বেলস ফেলে দেন কেয়ারি। ১৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৯ রান করেন আফিফ।

আশা ছিল তরুণ মারকুটে ব্যাটসম্যান শামীম হোসেনকে নিয়েও। তিনিও ব্যর্থ। নুরুল হাসান সোহানের ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। হেজলউডের বলে ক্রস ব্যাটে খেলে আউট হন তিনি ৮ বলে ৩ রান করে।

নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। হাঁকিয়েছিলেন একটি ছক্কাও। কিন্তু লম্বা হয়নি মাহমুদউল্লাহর সাথেঙ্গে তার জুটি। রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের বলে আলতো ড্রাইভ করেই রান নিতে ছোটেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বল সরাসরি যায় কাভার ফিল্ডারের দিকে। সেটা দেখে একটু থমকে যান সোহান। পরে মাহমুদউল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে ছোটেন আবারো। কিন্তু কাভার থেকে সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্পে লাগান মোইজেস হেনরিকেস। ৫ বলে ১১ রান করেন সোহান।

শেষ ওভারে রীতিমতো উইকেটের ছড়াছড়ি। অভিষেকে হ্যাটট্রিকই করে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান এলিস। ১৯.৪ ওভারে সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করেন তিনি। ৫২ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পঞ্চম ফিফটি এটি তার। ৫৩ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান চারটি চার।

পরের বলে মার্শের হাতে ক্যাচ দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ বলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে এলিসের। শেষ অবধি সফল তিনি। মেহেদী হাসানকে অ্যাগারের তালুবন্দী করান তিনি। হয়ে যায় দারুণ এক হ্যাটট্রিক।

আগের তিন ওভারে উইকেটের দেখা না পেলেও শেষ ওভারে এলিস পান তিন উইকেটের দেখা। হেজলউড ও জাম্পা পান একটি করে উইকেট।

টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ভালোমতোই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ জিতলে সিরিজ নিজেদের হবে মাহমুদউল্লাহদের।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *