Main Menu

সিলেটে গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা রেকর্ড, পালিয়েছে চিকিৎসক দম্পতি

সিলেট নগরীর আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকায় চিকিৎসক দম্পতির বাসায় গৃহকমী কিশোরী জান্নাত আক্তার রিনার (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আর আগে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিলো। মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সৌমেন মিত্র।

গত ৩১ অক্টোবর সিলেটের আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ডা. জামিলা খাতুনের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় কোম্পানীগঞ্জের বাতুমারা নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল মালিকের মেয়ে জান্নাত আক্তার রিনার (১৫) লাশ। গলায় ছিলো আঘাতের চিহ্ন। রিনার পরিবারের অভিযোগ- নির্যাতনের পর হত্যা। আর ডা. জামিলা খাতুনের দাবি- আত্মহত্যা করেছে রিনা। এ মৃত্যুর ঘটনায় ৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন নিহত রিনার পিতা আব্দুল মালিক। অভিযোগটি কোতোয়ালি থানার ওসিকে ৩ দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন সিলেট অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক জিয়াদুর রহমান।

মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করেছেন আব্দুল মালিক। এছাড়াও মামলায় ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। রিনার পিতা আব্দুল মালিক জানান, অভাবের সংসার হওয়ায় বাসায় টুকটাক কাজ করার পাশাপাশি পড়ালেখা করানোর শর্ত দিয়ে ডা. ওয়েছ ও ডা. জামিলা খাতুনের বাসায় পাঠান রিনাকে। কিন্তু ডা. জামিলার পরিবারের সদস্যরা রিনাকে নানাভাবে অত্যাচার করতো। কাজে সামান্য ভুল হলেই রিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করতো সবাই। এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পাশাপাশি কিশোরী জান্নাত আক্তার রিনার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন চিকিৎসক দম্পতির ছেলে তাহসান। রিনার প্রতি তার কুদৃষ্টি ছিলো। এদিকে, রিনার পিতা আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তরা বাসায় তালা দিয়ে পালিয়েছেন। পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি থানার এস.আই আতিকুর রহমান জানান, মামলাটি ৩০২ ও ৩৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। ভিছেরা রিপোর্ট সংযুক্ত হয়ে রিপোর্টটি আসবে। তিনি জানান, মামলা রেকর্ডের পর থেকে অভিযুক্তদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের বাসায় তালা দেয়া। তদন্ত চলছে। আসামিরা দোষী প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। মামলা ও বাসায় না থাকার বিষয়ে জানতে ডা. জামিলার মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *