গীত বাদ্য নৃত্যের উচ্ছাসে সমাপ্ত হলো গ্রাম থিয়েটার সিলেট বিভাগের তিন ব্যপী লোক সংস্কৃতি উৎসব
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত গ্রাম থিয়েটারের সিলেট বিভাগের ৩ দিন ব্যাপি লোক সংস্কৃতি উৎসবের পর্দা নামলো গীত বাদ্য নৃত্যের উচ্ছাসে।
বৃহস্পতিবার হাজার হাজার লোকের সমাগম আর প্রাণের উন্মাদনায় বর্ণীল হয়ে ওঠে শেষ দিনের অনুষ্ঠান।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাই কমিশন- ঢাকা এর পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেটের কিন ব্রীজ ও আলী আমজাদের ঘড়ি সংলগ্ন এলাকা জুড়ে শুরু হওয়া এ উৎসবের শেষ দিনে মঞ্চ মাতালানেন ভারত থেকে আগত শিল্পী মঞ্জশ্রী দাশ ও বিধান লস্কর। ঐতিহ্যবাহী লোকগানের সুরে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শকরা। গানের সাথে চলতে থাকে গণ ধামাইল।
এদিকে শেষ দিনে সমাপনী আলোচনায় বক্তারা বলেন তিন দিনের এই লোক উৎসব সিলেটবাসীর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো। আমাদের হাজার বছরের লোক ঐতিহ্য আর শেকড় সন্ধানী পরিবেশনাগুলো আমাদের আগামীর প্রজন্মকে আমাদের পরম্পরার শিক্ষা দিলো। মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর মানবিকতার বন্ধন আরো দৃঢ় করে তুলবে এই উৎসব।
সমাপনি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সিলেট বিভাগের সমন্বয়কারী রজত কান্তি গুপ্তের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার এম.এ.জি. ওসমানী অঞ্চলের সমন্বয়কারী সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগন্নজ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন সিলেটের সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. লুতফুর রহমান লেবু।
ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারন সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না।
আলোচনার শুরুতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বাংলাদেশ ও ভারতের জানা অজানা সকল শহীদদের স্মৃতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন অতিথীরা।
এছাড়াও আমন্ত্রীত দলের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাঙ্গগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, জগদীশ চন্দ্র দাশ, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের সহকারী পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাশ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের দপ্তর সম্পাদক জোবায়ের শিবলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ রিংকু।
সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় রাই বিনোদিনী ধামাইল একাডেমীর পরিবেশনা করে ঐতিহ্যবাহী আইলাম্বর, এমকা পরিবেশনা করে ঐতিহ্যবাহী মনিপুর নৃত্য, চিরন্তনী বাংলা গানের দল মৌলভীবাজার পরিবেশন করে বাংলা লোক গান।
সবশেষে ছিলো ভারত থেকে আগত শিল্পী মঞ্জশ্রী দাশ ও বিধান লস্কর।
উল্লেখ্য “হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে” এই শ্লোগান নিয়ে গঠিত ৬ মাঘ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দ, ২০ জানুয়ারি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ সেলিম আল দীন, ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন ঢাকা থিয়েটার। বর্তমানে সারা দেশে দুই শতাধিক সংগঠন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ৩৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এ সকল অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্চলিক সমন্বয়কারীগণ। আঞ্চলিক সমন্বয়কারীদের কাজের তত্ত্বাবধান করেন ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮ জন বিভাগীয় সমন্বয়কারী।
« প্রায় ৫০০ গরিব অসহায় মানুষকে রমজানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ (Previous News)
Related News
শর্তসাপেক্ষে ‘ফারাজ’ চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট
ঢাকার হোলি আর্টিজানে ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত বলিউড মুভি ‘ফারাজ’-এরRead More
শনিবার পর্দা উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের
আগামী শনিবার পর্দা উঠছে নবম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের (ডিআইএমএফএফ)। দুইদিনব্যাপী এ উৎসবে বিশ্বেরRead More