Main Menu

ইউক্রেন যুদ্ধ: ন্যাটো সম্মেলনে পশ্চিমা নেতারা

 

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মধ্যে ইউরোপে ন্যাটো সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তারা মিলিত হন।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবিসি এ খবর জানায়।

এর আগে ব্রাসেলসে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্মেলনেও যোগ দিতে পারেন।

এতে প্রথমবারের মতো বাইডেন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইইউ’র সম্মেলনে যোগ দেবেন।

ইউরোপে পর পর তিনটি সম্মেলন অনুষ্টিত হবে। ন্যাটো, জি-৭ ও ইইউ’র এসব বৈঠকের প্রত্যেকটিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে কার্যত এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমের দেশগুলো। এর আগে তাদের কোনো বিষয়ে এতো ঐকবদ্ধ দেখা যায়নি।

রুশ আগ্রাসন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সামনে এনে দিয়েছে নতুন লক্ষ্য।

ন্যাটো এবং ইইউ’র বৈঠকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অংশ নেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটোর ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ইউক্রেনে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হতে পারেন।

একই সঙ্গে ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে আরও সেনা মোতায়েনের বিষয়েও সম্মতি আসতে পারে। কিয়েভের সঙ্গে সংহতি প্রকাশই এসব সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

পশ্চিমাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি (সবাই নয়) দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।

যুক্তরাজ্য বলছে, তারা ইউক্রেনকে প্রাণঘাতি অস্ত্র সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে জি৭ ও ন্যাটো সম্মেলনকে ব্যবহার করবে।

তবে ন্যাটো জোট এটা পরিষ্কার করে বলছে যে, তারা সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশটির আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, সেটাও উপেক্ষা করেছে ন্যাটো।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।

যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।

সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে।

রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *