Main Menu

নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদানের দাবি

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যানও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ খাদিমপাড়া ইউনিয়ন, সিলেট আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জনগনের সস্তা, সহজলভ্য বাহন হিসেবে এর নকশা আধুনিকায়ন এবং ব্রেক ও গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে দ্রæত লাইসেন্স প্রদান করাসহ ৫ দফা দাবিতে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ আগস্ট, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পীরের বাজারে সমাবেশ শেষে সিলেট-তামাবিল রোডে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ খাদিমপাড়া ইউনিয়ন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রেশাদ আহমদ এর সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা সাহেদ আহমদ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক ও চালক সংগ্রাম পরিষদ সিলেটের উপদেষ্টা আবু জাফর, চালক সংগ্রাম পরিষদ খাদিমপাড়া ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি মুতলিব মিয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, সুহেল আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, মহানগর শাখার শহীদ মিয়া ও কুরবান আলী, ইউনিয়ন শাখার সুলেমান আহমদ, মাসুক আহমদ,কবির আহমদ, কয়ছর আহমদ,দুলু মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সড়ক পরিবহণ টাস্কফোর্স এর সভায় সারাদেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধ এবং পর্যায়ক্রমে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন ও ভটভটিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ইজিবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে এবং এটা সাধারণ মানুষের একমাত্র বাহন। এই সব রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইক যাত্রী পরিবহণ, পণ্য পরিবহণ এমনকি রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রে দেশের সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎচালিত বলে এই সব বাহন শব্দ দূষণ কিংবা পরিবেশ দূষণ করে না। ছোট ছোট গলিপথে চলাচল করতে পারে এবং ভাড়া কম বলে এই সব বাহন সারা দেশে প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় বাহনে পরিণত হয়েছে। ইতিপুর্বে বিভিন্ন সময়ে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে তার যে কোন বিকল্প নেই তা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে বৈধভাবে ব্যাটারি ও মটর আমদানি এবং তৈরি হয়। ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করেন। মেকানিক বা মিস্ত্রিরা এই ব্যাটারি ও মটর লাগিয়ে রিক্সা তৈরি করেন। রিক্সা চালানোর মত কষ্টকর ও অমানবিক শ্রমের কাজ আর নেই। ব্যাটারি লাগানোর কারনে চালকদের কিছুটা শারীরিক শ্রম লাঘব হয়, ফলে এই রিক্সা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তার শেষ সম্বল বিক্রি করে বা ঋণ নিয়ে রিক্সা কিনে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করেছে। করোনায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়েরর কারনে মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে। করোনার প্রথম ধাক্কায় নতুন করে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। এই সময়কালে রিক্সা বন্ধ করে দিলে আরও ৫০ লাখ রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান, ইজিবাইক চালক বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়বে। পরিবহণের সাথে যুক্ত চালক ও তাদের উপর নির্ভরশীল প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বা তাদের পরিবার পরিজন জীবন- জীবিকা হুমকির মধ্যে পড়বে এবং তারাও নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাবে যা কারো কাম্য নয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা মহারারীর কারনে ইতিমধ্যে আড়াই কোটি মানুষ বেকার হয়েছে যদি বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন উচ্ছেদ করা হয় তাহলে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে। বক্তারা, প্রতিটি সড়ক- মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেন নির্মাণ, চালকদের উপর হয়রানি-নির্যাতন-চাদাবাজি বন্ধ এবং করোনায় বিপর্যস্থ শ্রমিকদের রেশন- আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের দাবি করেন। বক্তারা অবিলম্বে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের নামে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বক্তারা লক্ষ লক্ষ রিক্সা শ্রমিক, ক্ষুদ্র মালিক ও এর সাথে যুক্ত অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জনগনের সস্তা, সহজলভ্য বাহন হিসেবে এর নকশা আধুনিকায়ন এবং ব্রেক ও গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা, সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ যান্ত্রিক যানবাহনের দ্রুত লাইসেন্স প্রদান করাসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার দাবি জানান।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *