সিলেটের হরিপুরে চিহ্নিত হলো চার স্তরের গ্যাস

সিলেটের হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রে চারটি স্তরে গ্যাসের অবস্থান চিহ্নিত করেছে বাপেক্স। এর মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তর (১ হাজার ৯৯৮ মিটার গভীর) থেকে গত ৪ জানুয়ারি গ্যাস উঠতে শুরু করেছে। একইদিন বিকেল ৪টার দিকে কূপটির ফ্লেয়ার লাইনে উঠে আসা গ্যাসে আগুনের শিখা জ্বালিয়ে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়।
বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে কূপটির ২ হাজার ৭২ থেকে ২ হাজার ৯৪ মিটার গভীরতায় তেল আছে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু খননকালে ওই স্তরে পৌঁছাতে পারেনি বাপেক্সের খননযন্ত্র (রিগ)। ২ হাজার ২৫ মিটারে রিগটি আটকে যায়। ফলে সম্ভাব্য তেলের স্তরটি বাদ দিয়ে এর উপরে চিহ্নিত চার স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রক্রিয়া হিসেবে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রটি পরিচালনা করে পেট্রোবাংলার অধীনস্থ কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এসজিএফএলের সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তিতাসের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ্র তত্ত¡াবধানে কূপটির খননকাজ শুরু হয়।
তিনি বলেন, কূপটির যে স্তর থেকে উঠে আসা গ্যাসে শিখা জ্বালানো হয়েছে, তার উপরের আরও তিনটি স্তরের অন্তত একটি অনেক সমৃদ্ধ। সবগুলো স্তরে ডিএসটি করার পর সেখানকার সম্ভাব্য মজুত নির্ধারণ এবং বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হবে।
দেশের প্রাচীনতম এই গ্যাস ক্ষেত্রটির ৯ নম্বর কূপে গত ২ অক্টোবর খননকাজ শুরু করে পেট্রোবাংলার অধীন আরেকটি কোম্পানি বাপেক্স। তাদের করা ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের ভিত্তিতেই কূপটি খননের স্থান ও গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।
এসজিএফএল সূত্র জানায়, ভূকম্পন জরিপের ফলের ভিত্তিতে এই কূপে তেল পাওয়ার আশা করা হয়েছিল। কূপটি খনন করার কথা ছিল ২ হাজার ১০০ মিটার গভীর। কিন্তু ২ হাজার ২৫ মিটার পর্যন্তখনন করার পর ড্রিলিং পাইপ আটকে যায়, যা প্রচলিত কোনো পদ্ধতিতেই ছাড়ানো যায়নি। ভূতাত্ত্বিক জটিলতা এবং খননকাজ পরিচালনায় ত্রুটির কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে।
সূত্র জানায়, এই অবস্থায় করণীয় নির্ধারণের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞসহ সব পক্ষ এক সভায় মিলিত হয়। সে সভায় সামগ্রিক বিষয় আলোচনা করে সিদ্ধান্তনেন যে, ড্রিলিং পাইপ যেখানে আটকে গেছে, সেখানেই এটি কেটে সিমেন্টিং করে দেয়া হবে। অর্থাৎ কূপটির খননকাজ সেখানেই শেষ করা হবে। এরপর ২ হাজার ২৫ মিটারের মধ্যে চিহ্নিত চারটি স্তরে ডিএসটি সম্পন্ন করে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।
Related News

অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত সৈনিক হাবিবুর রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনোলন যখন এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। তখন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর রাজপথেRead More
কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবের সৈনিক আহত হাবিবুর রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনোলন যখন এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। তখন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর রাজপথেRead More