Main Menu

দেশে আবারো বাড়ল লকডাউন

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেন লাগামহীন হয়ে পড়েছে। কাঙ্ক্ষিত উন্নতি পাওয়া যাচ্ছে না চলতি লকডাউনে। তাই মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে আরো এক ধাপ। এ দফায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাতেই শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি লকডাউন। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে আবারো।

বিধিনিষেধ বাড়ায় আগের মতো সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে।

উচ্চঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সাথে আলোচনা করে স্ব-স্ব এলাকার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এর আগে ৬ জুন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিধিনিষেধ আরো ১০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মার্চের শেষের দিকে দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যায়। মার্চের শুরু থেকে প্রথমে গণপরিবহন ও অফিস চালু রেখে লকডাউন দেয়া হয়। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে ৬ দফা লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হয়। একইসাথে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে বসিয়ে সেবা দেয়ার অনুমতি পায়।

বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত অফিস আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্বাহী আদেশে সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *