অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার শপথ করালেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের মানুষকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে তিনি এ শপথ পড়ান।
দেশের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করান।
সিলেট জেলা ষ্টেডিয়ামে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। সবার লক্ষ একটাই বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পাঠে শরিক হয়ে ইতিহাসের অংশ হওয়া।
সিলেট জেলা ষ্টেডিয়ামে অংশ নেয়া হাজারো মানুষের কণ্ঠে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান ও বুকে অগাধ দেশপ্রেম। এ যেনো এক অন্যরকম আবেগমাখা মুহুর্ত। এ যেনো এক অন্যরকম ভালোবাসা। যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবার নয়।
প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটায়। প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ পাঠের জন্য বক্তব্য শুরু করেন। সাথে সাথে পুরো ষ্টেডিয়াম নিরবতায় ছেয়ে যায়। সবার দৃষ্টি ডিজিটাল স্কিনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের দিকে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের প্রথমদিন ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না— দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
এসময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Related News

জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।Read More

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেRead More