১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে মার্কিন পার্লামেন্টে রেজুলেশন

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে একটি রেজুলেশন আনা হয়েছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিভ ক্যাবট ১৪ অক্টোবর এই রেজুলেশনটি (এইচ১৪৩০) আনেন। রেজুলেশনের নাম হচ্ছে ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতি’।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের স্বশস্ত্র বাহিনী বাঙালি ও হিন্দুদের ওপর যে সহিংসতা চালিয়েছে তাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানানো হয় রেজুলেশনে। এছাড়া পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এবং যেসব অপরাধী এখনও বেঁচে আছে তাদের বিচার করার জন্যও আহ্বান জানানো হয় এতে।
১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনাবলী বিবেচনায় নিয়ে বিলে ১৯৭১ এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সহিংসতাকে নিন্দা জানানো হয়।
বাঙালি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ওইসব সহিংসতাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসাবে স্বীকার করা হয়। ১৯৭১ সালে যারা মারা গেছেন এবং অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয়।
রেজুলেশনের প্রথম অংশে ১৯৪৭ সালে দেশভাগ এবং পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের প্রতি বিতৃষ্ণার মনোভাব পোষণ করতো সেটির কথা বিবৃত করা হয়।
১৯৭০ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়লাভ এবং পরবর্তীতে ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সঙ্গে তাঁর আলোচনা ব্যর্থ হয় জানিয়ে রেজুলেশনে বলা হয়, জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তার জেনারেলদের বলেছিল ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করো এবং বাকিরা আমাদের হাত চাটবে।
এতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং সামরিক বাহিনী ও উগ্র ইসলামিক দলের সহায়তায় অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে।
Related News

বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না: শাম্মি আক্তার
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয়Read More

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে মায়ানমারের শত শত সেনা ও বেসামরিক নাগরিক
মায়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত যোদ্ধাদের হামলার পর শনিবার ৫৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ওRead More