Main Menu

যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন ইয়ানের আঘাতে নিহত ৪৫

হারিকেন ইয়ানের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডা তছনছ হয়ে গেছে। এতে রাজ্যটির বিভিন্ন শহরে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

মার্কিন সংবামাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারিকেন ইয়ান সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ক্যাটাগরি চার মাত্রার একটি হারিকেন। যার আঘাতে জাহাজ ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ৩টা ৫ মিনিটে কায়ো কোস্টা দ্বীপের কাছে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে।

উপকূলে আঘাত হানার সময় চার মাত্রার হারিকেন ইয়ানের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।

ঝড়ের তীব্রতার দিক থেকে পাঁচ মাত্রার হারিকেনের চেয়ে ইয়ানের গতিবেগ সামান্য কম। সবচেয়ে মারাত্মক পাঁচ মাত্রার হারিকেনের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ধরা হয় ১৫৭ মাইল।

এনএইচসি জানায়, দ্বীপে আঘাত হানার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বন্দরনগরী পুন্তা গোর্দার ঠিক দক্ষিণ উপকূল দিয়ে ফ্লোরিডার মূল ভূখণ্ডে উঠে আসে হারিকেন ইয়ান। এ সময় বাতাসের গতিবেগ সামান্য কমে ঘণ্টায় ১৪৫ মাইলে নেমে আসে।

এনএইচসির বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার ঝড়টি দক্ষিণদিকে সরে যেতে থাকে এবং ফ্লোরিয়ার পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনায় গিয়ে শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

তবে ফ্লোরিডায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইয়ান। প্রবল ঝড়ো বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসে অঙ্গরাজ্যের উপকূলীয় বিভিন্ন শহরের কোনো ভবন ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পায়নি। বুধবার ঝড় যে শহরে আছড়ে পড়েছিল, সেই ফোর্ট মায়ার্স শহর প্রায় হ্রদে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফ্লোরিডা শাখা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পুরো ফ্লোরিডায় যে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জনই ফ্লোরিডার।

এদিকে মেয়র জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৪৫-এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে আনতে পেরেছি, কিন্তু তারপরও অনেককেই আনা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার হারিকেন ইয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়সমূহের একটি উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, এত বড় মাত্রার ধ্বংসযজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেখা যায়নি। যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেসব পুনর্গঠনে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়ানের প্রভাবে উপকূলের কিছু এলাকা ১২ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।

২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানা আরেক হারিকেন চার্লির পর ইয়ানকেই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে ধারণা করা হচ্ছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *