Main Menu

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ৭ উইকেটের সহজ জয়

তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল টাইগাররা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দুর্দান্ত বোলিং ও লিটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। তাছাড়া ভালো ব্যাটিং করেছেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলকে জিতিয়েই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তারা।

রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। পরে ব্যাটে নেমে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতায় ফিরল টাইগাররা।

দ্বিতীয় ম্যাচে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন তুলে নেন ৫ উইকেট। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাসের ফিফটিতে সহজ জয় পায় টাইগাররা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হারের জন্য বড় কারণ ছিল বোলারদের ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বোলারদের হাত ধরেই জয়ের পথ সুগম হয়। টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেক জিম্বাবুয়ের ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাকফুটে ফেলে দেন।

প্রথম ওভারে চাকাভা এবং মাধবেরেকে ফেরানো মোসাদ্দেক টানা চার ওভারের স্পেলে তুলে নেন ৫ উইকেট। ফলে ৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়েদের ব্যাটিং স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩২ রান। যেখানে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট ছিল মোসাদ্দেকের নামের পাশে।

এই অফস্পিনার শিকার করেন চাকাভা, মাধবেরে, শন উইলিয়ামস, মিল্টন শুম্বা ও ক্রেইগ এরভিনের উইকেট। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফেরান প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুইয়ানদের নায়ক সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল।

দুইজনে ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রান যোগ করেন। বার্ল ৩২ রান করে হাসান মাহমুদের বলে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। ২৮ মাস পর দলে ফিরেই উইকেটের দেখা পেলেন হাসান। এটি এই পেসারের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটও।

হাসানের পরের ওভারে ফিফটি হাঁকানো রাজাকে ফেরান মুস্তাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করেন রাজা। শেষদিকে লুক জঙ্গের ৫ বলে অপরাজিত ১১ রানে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন লিটন। একপ্রান্তে মুনিম ৮ বলে ৭ রান করে ফিরলেও অপরপ্রান্তে লিটন নিজের মতো করে খেলে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

তিনে নেমে আনামুল হক বিজয় এই ম্যাচেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৫ বলে ১৬ রান করে প্রথম ম্যাচের মতো আবারও সিকান্দার রাজার বলে ফেরেন তিনি।

৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাকি সময় নির্বিঘ্নে খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুইজনের ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন দুই ব্যাটসম্যান।

আফিফ ৩০ ও শান্ত ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে রাজা, উইলিয়ামস ও রিচার্ড এনগার্ভা ১টি করে উইকেট শিকার করেন। আগামী ২ আগস্ট সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *