Main Menu

ষষ্ঠ ধাপে সিলেটে ২৫টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে সিলেট বিভাগের ২৫টি ইউনিয়নে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ধাপের ইউপি নির্বাাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে । তবে দু-একটি কেন্দ্রে ভোটারের লাইন দীর্ঘ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের পরও ভোটগ্রহণ চলে । বিকাল ৫টার দিকে এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করায় অনেক কেন্দ্রে জটিলতা দেখা দেয় বলে অনেক ভোটার জানান। এ ধাপে সিলেটর সব কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে। যার কারণে ভোটগ্রহণে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিলো একটু ধীরগতি। সোমবার সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ও কামালবাজার ইউনিয়ন, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন, ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর, সাদিপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গাবাজার, গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর ও উছমানপুর ইউনিয়ন, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলং ইউনিয়ন এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট, পুটিজুরি, সাতকাপন, সদর, লামাতাসী, মিরপুর ও ভাদেশ্বর ইউনিয়ন এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ সদর ইউনিয়নে। তবে বিভাগের ২৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে উচ্চ আদালতের আদেশে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এদিকে, ভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ছিলো সতর্ক অবস্থানে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রোববার থেকেই প্রতিটি কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করেন র‍্যাব ও আনসার সদস্যরাও। মাঠে ছিলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো সকল নির্বাচনী এলাকায়।
সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের হাজরাই-আতাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকেল তিনটার দিকে গিয়ে মহিলা ভোটারের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করায় এ জটিলতা হয়। তবে কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার শাহ সাইফুল আলম জানান পুরুষ ভোটারগন তাড়াতাড়ি ভোট দিলেও মহিলা ভোটারগন ভোটদিতে দির্ঘ সময় নেন। তাই এ সমস্যা হচ্ছে। তবে তা কাঠিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান। একই উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের চন্দ গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয় কেন্দ্রে বিকাল সাড়ে তিনটায় গিয়ে দেখা যায় ভোটারের উপস্থিতি অনেক। তখনও সাড়িবেধে ভোটারা ভোট দিচ্ছেন। তবে কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার জুবায়ের আহমদ মজুমদার জানান য়ারা ভোট দিতে লাইনে দাড়িয়েছেন তাদেরকে নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট দেয়ার ব্যাবস্থা করা হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *