Main Menu

এই শীতে মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাবে ৩০ লাখ বৃটিশ পরিবার

বৃটেনের প্রতি ১০ পরিবারের একটিই এই শীতে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পরেছে। তারা পরিবার চালনার সাধারণ ব্যয়টুকু বহনেও হিমশিম খাচ্ছে। বাসার বিভিন্ন বিল পরিশোধ এবং খাবার যোগান দেয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে এই ৩০ লাখ পরিবারের জন্য।

বৃটেনের প্রতি ১০ পরিবারের একটিই এই শীতে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পরেছে। তারা পরিবার চালনার সাধারণ ব্যয়টুকু বহনেও হিমশিম খাচ্ছে। বাসার বিভিন্ন বিল পরিশোধ এবং খাবার যোগান দেয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে এই ৩০ লাখ পরিবারের জন্য। একটি দাতব্য সংস্থার চালানো জরিপে এমনটাই জানা গেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

সিটিজেনস এডভাইস নামের সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতি ৫ পূর্ন বয়স্ক বৃটিশের একজনই তাদের খাবার খরচ কমিয়ে এনেছে কিংবা বাসার হিটিং বন্ধ রাখছে। সংস্থাটি এখন বৃটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। নইলে নিম্ন আয়ের নাগরিকদের সংকট সামনের মাসগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে। সিটিজেনস এডভাইসের প্রধান নির্বাহী ডেম ক্ল্যায়ার বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই সরকার হস্তক্ষেপের দারুণ সুযোগ পেয়েছে।

আমি এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
বুধবার সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা নিম্ন আয়ের কর্মজীবী শ্রেণির মানুষের জন্য বাৎসরিক ১ হাজার পাউন্ড সুবিধা প্রদান করবে। এতে প্রায় ২০ লাখ পরিবার সুবিধা পাবে। কিন্তু সমালোচকরা এখন বলছেন, এরপরেও প্রায় ৩০ লাখ পরিবার এই সিদ্ধান্ত থেকে উপকৃত হবে না। যারা কাজ করেন না, অসুস্থ কিংবা প্রতিবন্ধী এমন পরিবারগুলোর কথা সরকার ভাবেনি।

ম্যানচেষ্টারের সিটিজেন এডভাইসের এক উপদেষ্টা আসিয়া মজিদ বলেন, আমি সম্প্রতি এরকম সংকাটপন্ন একজনের সঙ্গে কথা বলেছি যিনি বাড়ির হিটিং বন্ধ করে দিয়ে ঘুমান। এ জন্য তাকে তিনটি জাম্পার পরে তার কুকুরটিকে নিয়ে ঘুমাতে হয়। গরডন নামের আরেক ব্যাক্তি যিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে আছেন। ইউনিভার্সাল ক্রেডিট কমিয়ে দেয়ায় বিপদে পড়েছেন সাবেক এই প্রকৌশলীও।

তিনি বলেন, অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসই আছে যা আমি এখন আর কিনতে পারছি না। আমি বারবার শুধু আমার ব্যাংক একাউন্টের দিকে তাকাচ্ছি। আমার চলাচলের জন্য পেট্রোল কেনার অর্থও নেই। আমি এখন বিচ্ছিন্ন ও হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *