Main Menu

কাবুলে আছে ইরানও, শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা দেবে তুরস্ক

ইরান জানাচ্ছে, কাবুলে তাদের দূতাবাস এখনও খোলা আছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস ‘সম্পূর্ণ খোলা এবং পুরো মাত্রায় কাজ করছে।’ খবর বিবিসির।

আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে এর আগে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই খবর নাকচ করে দেন যে, আফগানিস্তানে শুধু রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের দূতাবাস খোলা রয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু কাবুলেই নয়, হেরাতেও ইরানী কনস্যুলেট ‘পুরোপুরি কাজ করছে’। সপ্তাহান্তে ইরান জানিয়েছিল, আফগানিস্তানে তাদের পাঁচটির মধ্যে তিনটি কনস্যুলেট তারা গোপনে বন্ধ করে দিয়েছিল এবং সেখানকার কূটনীতিকদের কাবুলে নিয়ে গিয়েছিল। তবে কিছু কূটনীতিককে তারা তেহরানে ফেরত নিয়ে গেছে।

এদিকে তুরস্ক বলেছে, আফগান সংঘাতে সংশ্লিষ্ট ‘সব পক্ষের’ সঙ্গে তারা কথা বলছে, যার মধ্যে তালেবানও রয়েছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুৎ কাভুসগলু বলেন, আফগানিস্তানে কূটনৈতিক মিশন এবং সেখানে তুরস্কের নাগরিকদের ব্যাপারে তালেবানের বার্তাকে তুরস্ক স্বাগত জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তারা যা বলেছে তা কাজেও করবে।’ তিনি বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

কাভুসগলু বলেন, তুরস্ক এই মুহূর্তে আফগানিস্তান থেকে তাদের এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেবার কাজ করছে।

এর আগে, তুরস্ক বলেছিল ন্যাটো বাহিনীর সদস্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে যাবার পর সে দেশের বিমানবন্দরের প্রহরা ও কার্যক্রম চালু রাখতে তাদের ৬০০ সেনা আফগানিস্তানে থেকে যাবে। কিন্তু এখন তালেবান ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পর সেটা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

তবে নাম প্রকাশ না করে দুটি সূত্র থেকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছে, এ পরিকল্পনা এখন বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু তালেবান সহায়তা চাইলে তুরস্ক সেটা দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *