Main Menu

ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ইরানে জাতিসংঘ দূত

ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রথমবারের মতো ইরান সফরে গেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবকে আর সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র; মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন ঘোষণার পর এ সফরে গেলেন তিনি। রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মার্টিন গ্রিফিথস-এর দেশটিতে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। স্কুল, বাজার ও হাসপাতাল, জানাজার নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় আরও অনেকে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইয়েমেন। এক পর্যায়ে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন ওবামা প্রশাসন। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ওই নীতি বদলে দেন। ট্রাম্পের বিদায়ের পর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়েমেনে সৌদি অভিযানকে আর সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মাথায় ইয়েমেন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তেহরান সফরে গেলেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত। ফলে তার এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দুই দিনের সফরে তেহরান পৌঁছেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফসহ দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার।

মার্টিন গ্রিফিথস-এর দফতর জানিয়েছে, সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কূটনীতিক প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন দিতেই তার এ সফর। তার দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি, জরুরি মানবিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার বিষয়ে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতার মতো বিষয়গুলো জাতিসংঘ দূতের অগ্রাধিকার এজেন্ডায় থাকবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *