Main Menu

সুনামগঞ্জে কারাগারের বদলে বই নিয়ে বাড়ি ফিরল ৪৯ শিশু!

বিভিন্ন অপরাধে বিচারাধিন ৪৯ শিশু-কিশোরকে কারাগারের বদলে তাদের হাতে বই তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন সুনামগঞ্জের শিশু আদালতের বিচারক।

রায়ের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরকে শিশুদের অপরাধ প্রবনতা থেকে দুরে রাখতে সুন্দর পরিবেশ দেয়ার আহবান জানান ও শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে বলেন। আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য শিশুদের প্রতিও উৎসাহ দেন। বিচারাধিন মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলমান ছিলো। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বাদী ও বিবাদী পক্ষের সকলেই।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ব্যতিক্রমী এ রায় দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন। রায়ের পর বিচারকের পক্ষ থেকে শিশুদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। এরপূর্বেও তিনি ১৪ শিশুকে সংশোধনের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নান্টু রায় এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মুক্তি পাওয়ার পর আদালতের দেওয়া শর্ত প্রতিপালন করবেন বলে জানায় শিশুরা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দায়ের করা ৩৫ টি মামলায় ৪৯ জন শিশুর বিরুদ্ধে দÐবিধির ৩২৩ ধারায় অভিযোগ এনে মামলায় জড়ানো হয়েছিল। ক্ষুদ্র একটি অভিযোগে এসব শিশুদের আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হত। ফলে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে শিক্ষাজীবন ব্যবত হয়। ওই ৪৯ জন শিশুকে দীর্ঘমেয়াদী ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে মামলাগুলো দ্রæত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন আদালত। তাদেরকে সংশোধনের জন্য ১০টি শর্ত দিয়ে ওইসব শিশুদের কারাগারের পরিবর্তে পরিবারের হাতে তুলে দেন।

সংশোধনের শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, একশত মনীষীর জীবনী নামক গ্রস্থ পাঠ, বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ মেনে চলা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, ২০ টি গাছ লাগানো, মাদক থেকে দূরে থাকা, ভবিষ্যতে কোনপ্রকার অপরাধের সাথে নিজেকে না জড়ানো ইত্যাদি।
মুক্তি পাওয়ার পর তারা সকলেই এক বছর সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *