Main Menu

দিল্লি পরিস্থিতি নিয়ে ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ

বাংলাদেশের ১২ বিশিষ্ট নাগরিক ভারতের দিল্লিতে কয়েকদিন ধরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

এ বিশিষ্ট নাগরিকেরা হলেন- আনিসুজ্জামান, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, সারোয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, মফিদুল হক, তারেক আলী, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও গোলাম কুদ্দুছ।

এতে বলা হয়, ‘আমরা ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লিসহ সারাভারতে রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তি ও দলসমূহ বিবৃতি, সমাবেশ ও প্রতিবাদী মিছিল-সমাবেশের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছিল।গত কয়েক দিনে হঠাৎ করে পরিস্থিতির অবনতি হয়। এনআরসিবিরোধীদের ওপর সহিংস আক্রমণ শুরু হয়। এতে ইতিমধ্যে ২৭ জনের প্রাণহানি এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।’

বার্তায় আরও বলা হয়, ‘আমরা বন্ধুপ্রতিম পড়শি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সহায়তাকারী পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের এহেন দাঙ্গা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে এই শঙ্কা প্রকাশ করছি যে, পরিস্থিতি সম্মিলিতভাবে সামাল দিতে না পারলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে, যা এ অঞ্চলের দেশগুলোর শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে। আমরা ভারত সরকার ও জনগণকে আহ্বান জানাই, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভারতের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করুন।’

তারা বলেন, ‘একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সংগ্রামী জনগণকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে বিশেষভাবে আহ্বান জানাই। সহিংসতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির সচেতন জাগরণ সব ধর্মান্ধতাকে রুখে দেবে- এই আমাদের বিশ্বাস।’

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। টানা চারদিন ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছে দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর, কারাওয়ালনগরে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *