তুরস্কে ভূমিকম্প : নিহতদের প্রতি সমবেদনা ও সাহায্য প্রস্তাব বিশ্ব নেতাদের
তুরস্ক ও সিরিয়া ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। সোমবার সকালে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক টুইটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই কঠিন মুহূর্তে আমরা তুরস্কের জনগণের পাশেই আছি। এবং এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য তুরস্ককে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে সে জন্য আমরা সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ভারত তুরস্কের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে এবং এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে তাদের সব ধরনের সহায়তার দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক টুইটে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন যে দেশটিতে এক শ’ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আমরা তুরস্ককে জরুরি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র- সিরিয়া ও তুরস্কের ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা তুরস্কের সাথে সমন্বয় করে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।
তুরস্কে মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতদের জন্য ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে মোট নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫২১ জন।
সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় সময় ৪:১৭টায় (জিএমটি ০১:১৭) এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল সাত দশমিক আট। এর কিছুক্ষণ পর আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ছয় দশমিক সাত।
তুরস্কে এক শ’ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এই ধরনের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানেনি।
এদিকে তুরস্কে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দেশটিতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা অন্ধকার রাস্তায় জড়ো হয়েছে। উদ্ধারকর্মীদের অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
ভূমিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং আরো কয়েকটি অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভবন বিধ্বস্ত এবং অনেক লোক সেগুলোতে আটকা পড়ার খবর জানা গেছে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : সিএনএন
Related News
গাজার জন্য জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিতে ইসরাইলকে নির্দেশ বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতের
প্রায় ছয় মাসের অবিরাম সংঘাতের পর আসন্ন দুর্ভিক্ষের সতর্কতা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতRead More
গাজায় কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েল হামাস তুমুল লড়াই চলছে
অবরুদ্ধ গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চারিদিকে ইসরায়েল বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশেRead More