Main Menu

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ৮৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য যেকোনো জাতির গৌরব ও স্বকীয়তার সোপান। এ দুটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই জাতিসত্তার বিকাশ সাধন হয়। এ দেশের প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে কেবল কাজ করছে না, বরং এর সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখছে। উপমহাদেশীয় প্রেক্ষাপট, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এ সংসদের রয়েছে ঐতিহাসিক ভূমিকা। জাতিসত্তার বিকাশে কেমুসাস সোনালি ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ।
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর ৮৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত রোববার (১৬ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ) সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৮৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাহেদা আখতার ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব কেমুসাসের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এম এ করিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক লেখক গবেষক আবদুল হামিদ মানিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. কামাল আহমেদ চৌধুরী, কেমুসাস ভাষাসৈনিক মতিন উদ-দীন আহমদ জাদুঘরের পরিচালক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, কেমুসাস’র সহ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু, কেমুসাসের আল ইসলাহ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, কেমুসাসের কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপন, সহ পাঠাগার সম্পাদক ইছমত হানিফা চৌধুরী, সদস্য ছড়াকার জগলু চৌধুরী, বেলাল আহমদ চৌধুরী, সাবেক সদস্য জাহেদুর রহমান চৌধুরী, রুহুল ফারুক। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আবদুল কাদির জীবন।
সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, বাঙালি মুসলমানদেরকে শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির দিকে অগ্রসর করার জন্যই মুসলিম সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠা হয়। এ প্রতিষ্ঠান বাঙালি মুসলমানের সাথে ইতিহাস-ঐতিহ্যের যোগসূত্র স্থাপন করেছে। কেমুসাসের উত্থানের ফলেই বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে যে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়, তা ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভূমিকা রেখেছে।
সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠায় আমাদের পূর্বসূরিরা যে অবদান রেখেছেন, আমরা শ্রদ্ধার সাথে তা স্মরণ করছি। বিশেষ করে, বর্তমান সুরম্য ভবন নির্মাণে মাহবুবুর রহমানের অবদান এবং তাঁর সহযোগীদের প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সাবেক সভাপতি এম করিম চৌধুরী বলেন, কেমুসাস তার অগ্রযাত্রায় অনেক সংকটকালীন সময় অতিক্রম করেছে। এ প্রতিষ্ঠান যেভাবে জ্ঞান-গবেষণায় ভূমিকা রেখেছে, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে কেমুসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আরো চমৎকারভাবে উদযাপন করা হবে।
মূল প্রবন্ধের আলোচনায় ড. সাহেদা আখতার বলেন, কেমুসাস আমাদের চেতনার বাতিঘর। এ প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই তৈরি হয়েছেন অসংখ্য লেখক এবং গবেষক। ইতিহাস-ঐতিহ্যের সোনালি পথ নির্মাণে কেমুসাস তার স্বকীয় ভূমিকা চিরদিন অব্যাহত রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে কেমুসাসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আজকের এই অবস্থানে এসেছে। এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে অসংখ্য মানুষ কাজ করেছেন নিরলসভাবে। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা সবসময় অব্যাহত থাকবে। এজন্য আমাদের কবি-সাহিত্যিক এবং সাহিত্যমোদীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *