Main Menu

শান্তিচুক্তির পর তালেবানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বিমান হামলা

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের চারদিনের মাথায়ই তালেবান যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে এ হামলা চালানো হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

টুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, তালেবান যোদ্ধারা হেলমান্দে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে হামলা চালালে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এ বিমান হামলা করা হয়েছে।

কর্নেল সনি লেগেট জানান, ওয়াশিংটন শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও তালেবানদেরও তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে এবং ‘অপ্রয়োজনীয় হামলা’ বন্ধ করতে হবে। বুধবারের হামলাটি ‘আত্মরক্ষামূলক’ ছিল বলেও জানান তিনি।

তাৎক্ষণিকভাবে বিমান হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তাছাড়া তালেবানদেরও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে বুধবার আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, রাতে হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানের ২০ সেনা ও পুলিশকে হত্যা করেছে তালেবান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এক নেতার ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে।

এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে উরুজগান প্রদেশে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা। এতে অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানের চুক্তি অনুসারে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে তালেবান এবং কাবুলের সঙ্গে আলোচনা শুরুর কথাও জানিয়েছে তারা।

কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের ঘটনায় নতুন করে একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে কাবুলের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা হবে কিনা; তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *