নগরী থেকে প্রকাশ্যে যুবক অপহরণ, ৫দিনেও উদ্ধার হয়নি
নগরীর আম্বরখানা থেকে অপহরেণের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি জালাল আহমদ (২৪) নামে এক যুবক। গত ১৯ আগষ্ট রাত পৌনে ১১ টার দিকে বাসায় যাওয়ার পথে ডিঙ্গি রেস্টুরেন্টের সামন থেকে একটি কালো রংয়ের বক্সিগাড়ী যোগে কে বা কারা তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে।
এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে কোতোয়ালী থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। পরে অপহৃত জালালের ভাই এয়ারপোর্ট থানার বাদাম বাগিচা ৫৫/১ নং বাসার মৃত হাজী মো: রাজা মিয়ার পুত্র মো: কামাল হোসেন বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সিলেট এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অপহৃত জালালের পরিবার বর্তমানে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে কামাল হোসেন জানান, গত ১৯ আগষ্ট রাত পৌনে ১১ টার দিকে তার সৎ ভাই জুনেল আহমদ (৫০) জালাল আহমদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পারিবারিক বিষায়াধী নিয়ে জরুরী আলাপ-আলোচনা আছে বলে তাকে বাসা থেকে আম্বরখানা ডিঙ্গি রেস্টুরেন্টের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জালাল আহমদ ভাই কামাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে জুনেল জালালের সাথে সামান্য আলোচনার পর সে চলে যায়। এরপর জালাল আহমদ তার ভাই কামাল হোসেনকে সাথে নিয়ে বাসার যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটর সাইলেলে উঠার সময় হঠাৎ করে একটি কালো রংয়ের বক্সিগাড়ী যোগে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন যুবক কামালকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেল দেয় এবং এই সুযোগে জোরপূর্বক জালাল আহমদকে সন্ত্রাসীরা মুখ ধরে প্রকাশ্যে অপহরণ করে গাড়ীতে তুলে নগরীর দর্শন দেউড়ীর দিকে নিয়ে যায়। যা অপরহণের দৃশ্যটি আশপাশের সিসি টিভি অনুসন্ধান করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
লিখিত অভিযোগে কামাল আরো বলেন, অপহরণের সময় তিনি ভাইকে উদ্ধারের জন্য শোর চিৎকার করলে মানুষজন এগিয়ে আসলেও আর অপহরণকারীদের ধরা সম্ভব হয়নি। পরে ভাই অপহরণের বিষয়টি তাৎক্ষণিক আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে অবগত করা হয় এবং ঘটনাস্থান কোতোয়ালী থানা এলাকা হওয়ায় কোতোয়ালী থানায় বিষয়টি জানানো হয়। তিনি জানান, তার সৎভাই জুনেল, মা রাণী বেগমসহ পূর্বের পরিকল্পনা মোতাবেক তার ছোট ভাই জালালকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অপরহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে আটক করে রেখেছে। তিনি বলেন, পরে ছোট ভাই জালালকে অনেক খোঁজাখুজি করে কোথায়ও না পেয়ে গত ২১ আগষ্ট কোতোয়ালী মডেল থানায় ঘটনার বিষয়টির অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ তার অভিযোগটি গ্রহণ করেননি। এছাড়া তার ভাই জালাল আহমদ জীবনে কোন মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেনি। তার বাজে কোন অভ্যাসও নেই মা হয়ে সম্পদের লোভে এমন ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
Related News

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর নাজির উদ্দিনের শুভেচ্ছা
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সিলেট সদর উপজেলাসহ দেশ-বিদেশের সকলের প্রতি সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর নাজিরRead More

সদর উপজেলাবাসীকে প্রভাষক মো. খলিল আহমদের পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা
সিলেট সদর উপজেলাবাসীসহ দেশ- বিদেশের সকলকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তরুন সমাজসেবি প্রভাষক মো.Read More