মেয়েরা আরো পড়াশোনা করতে চায়, তাই বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করেছি : মোদি

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে দু’লাখের বেশি নারীদের সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, ‘কেন্দ্র এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আগে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছিল ১৮ বছর। কিন্তু, মেয়েরা এখন আরো বেশি পড়াশোনার সময় চাইছে। ওই কারণে আমরা বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ করার চেষ্টা করছি।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে উপহাস করে বলেন, ‘কারো এতে সমস্যা হলে নারীরাও এটা দেখবেন।’ মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) ওই অনুষ্ঠানে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার সিদ্ধান্তের সাফাই গাইতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেসসহ বাকি বিরোধী দলগুলোকে বিদ্রুপ করেন নরেন্দ্র মোদি। কারণ, একাধিক বিরোধী দল, সামাজিক সংগঠন নানা যুক্তি সাজিয়ে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে।
মোদি বলেন, ‘৫ বছর আগে উত্তরপ্রদেশে মাফিয়ারাজ, গুন্ডারাজ চলত। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হত নারীদের। কিন্তু তারা কিছু বলতে পারতেন না। থানায় গেলে অপরাধী, ধর্ষণকারীদের সমর্থনে ফোন চলে যেত। কিন্তু, যোগী আদিত্যনাথ অপরাধীদের উপযুক্ত জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। নারীরা বুঝতে পেরেছেন, আর চার ঘরের দেয়ালে তাদের আটকে রাখা যাবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারীরা আর আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে চান না। তারা আগের সরকার ফেরাতে চান না, যারা তাদের জন্য কিচ্ছু করেনি। আজ মহিলারা জানেন, কোন দল তাদের স্বার্থ পূরণ করবে।’ নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে মোট এক হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। এতে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
সূত্র : আজকাল
Related News

বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না: শাম্মি আক্তার
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয়Read More

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে মায়ানমারের শত শত সেনা ও বেসামরিক নাগরিক
মায়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত যোদ্ধাদের হামলার পর শনিবার ৫৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ওRead More