Main Menu

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: ওসমানীনগরে হামলা-ভাংচুর করে উল্টো অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার হামতনপুরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলাচালিয়ে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুট করার পর উল্টো অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের হাজী রফাত আলীর ছেলে রুমান আলী তোরন। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ তার।
শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন রুমান আলী তোরন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ, মিথ্য বানোয়াট ও তথ্য বিবর্জিত কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পুলিশের কতিপয় সদস্যদের যোগসাজসে স্থানীয় চান মিয়া গংরা দীর্ঘদিন যাবত আমার বাড়ির কবরস্থান নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। হামতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ কখনও ছিল না, এখনও নেই। যা এলাকাবাসী অবগত।’
রুমান আলী তোরন আরও বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা হল, আমার গ্রামের জামে মসজিদের উত্তর পশ্চিমে আমার ভাতিজা রুবেল মিয়ার একটি ভুশিমালের (মুদি) দোকান আছে। গত ২ আগস্ট সকাল ৯টায় তখদ্দছ মিয়া ও খালেদ মিয়া আমার ভাতিজা রুবেল মিয়ার দোকানে গিয়ে প্রথমে হুমকি দিয়ে যায়। একাধিকবার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেলা ১টায় চান মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমার ভাতিজার উপর হামলা চালায়। এ সময় তখদ্দছ মিয়া রাম দা দিয়া মাথায় কোপ মারলে রুবেল মিয়া ডান হাত দিয়া বাধা দিলে তার হাত রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আরো জখম হন আরিফ মিয়া, জানু মিয়া ও আমি নিজে আহত হই।’
তিনি বলেন, ‘হামলার এক পর্যায়ে রুবেল মিয়া পার্শ্ববর্তী সাইস্তা মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সাইস্তা মিয়ার বসত ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাইস্তা মিয়ার ঘরে ভাংচুর চালায়, ঘরের আসবাবপত্র, ওয়ারড্রোব ও আলমিরা ভাংচুর করে। শোকেস এর তালা ভেঙ্গে ৩ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার নিয়ে যায়; যার বাজার মূল তিন লাখ টাকা। এছাড়াও শোকেসের ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ ষাট হাজার টাকা নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সাইস্তা মিয়ার বসতঘরের দরজা জানালা ও বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। শুধু তাই নয়, বাড়ির টিউবওয়েল, ওয়াইফাই রাউটার ভাংচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। সন্ত্রাসীদের হামলাকালে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমার আত্মীয় স্বজনরা গ্রাম ছাড়া। ঘটনার সময় ওসমানীনগর থানা পুলিশকে অবগত করলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে তাদের সঙ্গে যোগসাজসে বাড়ির পাশে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার আমার আত্মীয় স্বজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এই ঘটনায় রুবেল মিয়ার পিতা হাজী মো. হামদু মিয়া ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ রহস্যজনকভাবে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ করেন তোরন। তিনি বলেন, ‘উল্টো হামলাকারীরা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের পারিবারিক সামাজিক মান-সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আনার আহ্বান জানান।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *