আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার নেতাদের সঙ্গে বসছেন পুতিন

রাশিয়ার অবকাশ নগরী সোচিতে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কারাবাখ অঞ্চলের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিয়ে সোমবার এই বৈঠকের কথা রয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বৈঠকে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা রয়েছে। পুতিন দুই নেতার সঙ্গেই আলাদাভাবে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর আট মাসের মাথায় দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এই বৈঠকে বসছেন পুতিন। সোচি শহরের একটি রিসোর্টে তিন নেতার বৈঠকের কথা রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন জানিয়েছে, গত বছর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় গৃহীত চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য আরও পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য মস্কোর তরফে জোর দেওয়া হবে।
এর আগে গত মাসে পুতিন বলেছিলেন, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতে মধ্যস্থতা করার মতো সামর্থ্য তার দেশের রয়েছে।
রাশিয়ার সামরিক মিত্র আর্মেনিয়া। অন্যদিকে আজারবাইজানের সঙ্গেও মস্কোর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে ছয় সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়ায় দুই প্রতিবেশী দেশ। সেই সময় আজারবাইনের পক্ষ নিয়েছিল তুরস্ক। এতে আর্মেনিয়ার বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। ‘সিক্স ডে ওয়ার’ নামে পরিচিত ওই সংঘাতে ছয় হাজার ৭০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে মধ্যে প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বলে স্বীকৃত অঞ্চলটি দখল করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। অঞ্চলটিতে বিপুল সংখ্যক আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত মানুষের বসবাস। ২০২০ সালের যুদ্ধে তুরস্কের সহায়তা নিয়ে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে ফের অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় আজারবাইজান। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ওই সময় সংঘাতের অবসান ঘটে। এরপর থেকে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার চুক্তির জন্য দুই দেশের নেতারা একাধিকবার মিলিত হয়েছেন।
Related News

চীনকে মোকাবিলায় ফিলিপাইনে জোরালো হচ্ছে মার্কিন উপস্থিতি
ফিলিপাইনে আরও চারটি সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে দক্ষিণ চীন সাগরRead More

ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চেয়েছে রাশিয়া
ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞার ফলেRead More