Main Menu

সিফডিয়া’র উদ্যোগে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ’ বিষয়ক সেমিনার

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, আত্মহত্যার প্রবণতা আমাদের সমাজে মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক ভারসাম্যহীনতা, পারিবারিক কলহ, নৈতিক অবক্ষয় এবং হতাশা থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এজন্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দূরীকরণে সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন-¯েœহ-মমতা-সহমর্মিতা এবং ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধ মেনে চলা আবশ্যকীয়।
গণমাধ্যম ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিলেট সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড ম্যাস মিডিয়া (সিফডিয়া)’র উদ্যোগে ‘আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশার সভাপতিত্বে গত শনিবার (১৫ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি.) নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সিফডিয়ার নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান আবদুল মুহিত দিদারের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সীতাব আলী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিফডিয়ার উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা জুলকার নায়েন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিফডিয়ার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ মোঃ আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আবদুল বাতিন ফয়সল। সেমিনারে সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। এরকম একটি সেমিনার আয়োজনের জন্য সিফডিয়াকে ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কোয়ান্টাম মেডিটেশন বিশেষজ্ঞ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সীতাব আলী বলেন, আত্মহত্যা একটি সমাজ এবং দেশের জন্য ভয়াবহ অভিশাপ। আত্মহত্যা পুরো বিশ্বের মানুষের সাথে ষড়যন্ত্রের শামিল। যে কেউ নিজেকে হত্যা করে, সে যেন পুরো মানবজাতিকেই হত্যা করে বসে। নৈতিক মূল্যবোধের অভাবেই মূলত আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। এ ব্যাপারে পারিবারিকভাবে অধিক সচেতন হলে একে রোধ করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা বলেন, আত্মহত্যা আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এটা মানবজাতির জন্য চরম লাঞ্ছনার বিষয়। মহান আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণ সংহার করার অধিকার কারো নেই। এ ব্যাপারে আমাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। পরকালীন ভয়াবহবতার কথা ভেবে হলেও এ থেকে বিরত থাকতে হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *