Main Menu

জাহানারাদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না অধিনায়ক

দেশ কিংবা বিদেশ যেখানেই হোক, বাংলাদেশ নারী দলের পেসাররা আড়ালেই পড়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক পেস বোলারদের দিয়ে করিয়েছেন মাত্র ১৩ ওভার। সেখানে জাহানারা আলম-রিতু মনি-লতা মণ্ডলরা প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় অধিনায়ককে স্পিনারদের ওপরই আস্থা রাখতে হয়েছে। অফফর্ম কিংবা ব্যবহার না করার ফলে পেসনির্ভর উইকেটে পেসাররা নিশ্চিতভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। যদিও অধিনায়ক নিগার সুলতানা মনে করেন, পেসারদের কাঁধে যখন দায়িত্ব যাবে, তখন তারা ঠিকঠাক সেটি পালন করতে পারবেন।

সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ১৩ ওভার বোলিং করে কোনও পেসারই উইকেট পাননি। এই ৫ ম্যাচে ঘুরেফিরে তিন পেসার খেলেছেন। আজ (শনিবার) এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে দুই পেসার থাকলেও কেবল জাহানারা আলমকে দিয়ে ২ ওভার করানো হয়। সেখানে ১৫ রান খরচ করলেও উইকেটশূন্য ছিলেন এই পেসার।

এর আগে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পেসার রিতু মনি ও লতা মণ্ডল থাকলেও অধিনায়ক ৫ স্পিনার দিয়েই বোলিং করেছেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে এই দুই পেসার খেললেও কেবল রিতু মনিকে দিয়ে ১ ওভার করানো হয়েছিল। সেই ওভারে ১০ রান খরচ করে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই দুই পেসার খেললেও রিতু ৩ ওভারে ১৯ রান ও লতা ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে রিতু ২ ওভারে ৮ ও লতা ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। এই যখন অবস্থা, পেস বোলিং নিয়ে চিন্তার তো কারণ থেকেই যায়।

অধিনায়ক নিগার অবশ্য পেসারদের নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন, ‘প্রথমত পেসাররা যে ভালো করছে না, তা কিন্তু না। বিষয়টা হচ্ছে, ওই পরিস্থিতিতে যা ডিমান্ড করছে সেটা ফুলফিল হচ্ছে না। এখন একটা ওভারে ৭-৮ রান আসছিল। এখন আরেকটা ওভারে পেসার করাতে পারতাম, যদি পেসার ভালো করতো। আমার কাছে রিতু মনি ছিল। কিন্তু আজকের দিনটা মনে হয়েছে স্পিনার দিয়েই হবে। তবে পরের ম্যাচে হয়তো ডিফরেন্ট হবে। দেখা যাবে জাহানারা আপু এক্সট্রা অর্ডিনারি বল করছেন। রিতু মনিকে হয়তো নিয়ে আসতে পারছি। এটা দিনের ওপর ডিপেন্ড করছে।’

পেস বোলিং নিয়ে কি সন্তুষ্ট, এমন প্রশ্নে নিগারের উত্তর, ‘বেসিক্যালি ম্যাচের ভেতরে আমার মনে হয়েছিল স্পিনাররা ডমিনেট করছিল। তাই আমার কাছে মনে হয়েছিল তাদের দিয়েই কন্টিনিউ করি। কারণ নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো করছে, তাদের ওপর আস্থা রাখা উচিত। পেসারে থাইল্যান্ড খুব কমফরটেবল। জাহানারা আপুকে এনে আমি ২ ওভার ট্রাই করেছি। কিন্তু তারা তখন ভালো খেলছিল। তাই আমি আবার স্পিনার এনেছি।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *