আশুলিয়ায় নূর বিশ্বাস হত্যা: কথিত স্ত্রী গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক আলী নূর হত্যা মামলার মূল আসামি আহিনা খাতুনকে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
বুধবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক আহিনা খাতুন নীলফামারির বাসিন্দা। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত আলী নূর বিশ্বাস মাগুড়া জেলার শ্রীপুর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
আসামির জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, প্রায় তিন বছর আগে নিহতের সাথে আসামির পরিচয় হয়। সেখান থেকে তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা দুজনই একসাথে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমতাবস্থায় বিবাহ ব্যতিরেকে তারা নিজেদের পরিবারকে না জানিয়েই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়া এলাকায়সহ বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। গত ৩ বছরে তারা ৫ বার বাসা পরিবর্তন করেছেন। জুলাই মাসের শুরুতে আলী নূর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, আলী নূর ঢাকায় ফিরে আসার পরে তার বিয়ের কথা জানতে পেরে আসামির ক্রোধ এবং প্রতিহিৎসা থেকে হত্যার পূর্বপরিকল্পনা করে। আহিনা খাতুন ঘটনার দিন ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বটি দিয়ে মাথা, গলা এবং বুকে নৃশংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করে এবং লাশটি কাঁথা চাপা দিয়ে রাখে। হত্যার পরে তার থালা-বাসন, কাপড় চোপর এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি একটি বস্তায় ভরে ঘড়ে তালা দিয়েনারায়নগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গত ৩১ জুলাই আলী নূরের মোবাইলের মাধ্যমে তার ভগ্নিপতি জাকিরকে অসুস্থতার কথা জানায়। এবং বলে তাকে বাঁচাতে তার পরিবার যেন দ্রুত আশুলিয়ার ভাড়া বাসায় আসেন সে কথা বলেন। ১ আগস্ট নিহতের পরিবারের লোকজন জিরাবো এলাকায় দেলোয়ার বেপারীর ভাড়া দেয়া টিনশেড বাসায় গিয়ে দেখে রুমের দরজা তালাবদ্ধ। তারা বাসার মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জানালা খুললে রুমের ভিতর হতে তীব্র দুর্গন্ধসহ মেঝেতে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় আলী নূরের লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে রুমের ভিতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
র্যাব আরও জানায়, এ ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৪ আসামি গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে আসামি আহিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More