Main Menu

সিলেট নগরে ‘নান্দনিক ধোপাদিঘীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কাল

সিলেটকে একসময় দীঘির নামে নামকরণ হয়েছে অনেক পাড়া-মহল্লার। এখনো দীঘির নামে মহল্লার পরিচিতি থাকলেও অস্তিত্ব নেই জলাধারের। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এসব দীঘি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে অট্টালিকা, সরকারী অফিস। বৈরি এই অবস্থায় নগরে যে কয়েকটি দীঘির অস্তিত্ব ঠিকে আছে তার মধ্যে অন্যতম ধোপাদিঘী। মজা পুকুরে পরিণত হওয়া ৬ একরের এই দীঘিটি শুধু প্রাণ ফিরে পায়নি, সংস্কারের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে নান্দনিক রূপ। ভারত সরকারের অর্থায়নে পুকুরের চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে। বাঁধানো হয়েছে একাধিক ঘাঁ। স্থাপন করা হয়েছে লাইট। অনেকে এখন ধোপাদিঘীকে তুলনা করছেন ঢাকার হাতিরঝিলের সাথে। সিলেটে পর্যটক আকর্ষনে এই দৃষ্টিনন্দন দীঘিটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংস্কার পরবর্তী নান্দনিক এই ধোপাদিঘীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ শনিবার। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি, ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মিলে ‘নান্দনিক ধোপাদীঘির’ উদ্বোধন করবেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, একসময় সিলেট পুরনো কারাগারের পাশের দীঘিটিতে স্থানীয় ধোপারা কাপড় ধৌত করতেন। এ থেকেই দীঘিটির নাম ধোপাদিঘী আর এলাকার নাম হয় ধোপাদিঘীরপাড়। একপর্যায়ে দীঘির পাড় দখল করে প্রভাবশালীরা নির্মাণ করে স্থাপনা। নগরের ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ এই দীঘিটি সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের লক্ষ্যে ভারত সরকারের অর্থায়নে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘী’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। প্রকল্পের অধীনে দিঘী খনন, চারপাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রেলিং ও লাইটপোস্ট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ২০১৮ সালের শেষদিকে ধোপাদীঘি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারিতে পুরোদমে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পে ভারত সরকার ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থায়ন করে।

ধোপাদিঘিতে গিয়ে দেখা গেছে, দীঘির চারপাশে প্রায় ৫শ’ মিটার দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। দীঘিতে নামার জন্য রয়েছে সুদৃশ্য দুটি ঘাট। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য রাখা হয়েছে টাইলস বসানো বেঞ্চ, রয়েছে টয়লেটও। ধোপাদীঘি এলাকায় সিটি করপোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে দীঘিতে প্রবেশের পথ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় দীঘির চারপাশ আলোকিত করতে রাখা হয়েছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘ধোপাদীঘি রক্ষা করতেই সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। দীঘি খনন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ঘাট বাঁধানো আর পাড় সংরক্ষণই ছিল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এখন এটি নগরের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। বিশাল দীঘির চারপাশের ওয়াকওয়ে লোকজন প্রাত:ভ্রমণও করতে পারবেন। নির্মল পরিবেশে হাঁটাচলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে দীঘির চারদিকে।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *