Main Menu

ব্রিটিশ রাজনীতি এখন উত্তপ্ত, বিদায় নিতে পারেন বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: একদিকে ব্রিটেন জুড়ে চলছে উৎসব, রানীর সিংহাসন আরোহনের ৭০ বছর উদযাপন করছে ব্রিটিশ জনগন। অন্যদিকে রাজনীতির অন্দরমহলে বইছে ঝড়। ব্রিটিশ রাজনীতি এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে একটি প্রশ্ন নিয়ে। সেটি হলো বরিস জনসনকে কি পদত্যাগে বাধ্য করা হবে, নাকি তিনি এই সংকট উৎরাতে পারবেন?

ইতোমধ্যে টরি দলের ৩০ জন পার্লামেন্ট সদস্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। এ ধরনের আর ৫৪টি চিঠি হলেই অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিকালে যখন ইনডোরে সব সামাজিক অনুষ্ঠানাদি নিষিদ্ধ ছিল, তখন ২০২০ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনের পার্টি করেছিলেন। এজন্য তাকে জরিমানা করেছে পুলিশ।

এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হয়তো মন্ত্রীদের জন্য যে কোড আছে তা ভঙ্গ করেছেন। যেসব মন্ত্রী কোড লঙ্ঘন করেন তারা স্বাভাবিক নিয়মেই পদত্যাগ করেন। এমনটাই নিয়ম। কিন্তু ‘পার্টিগেট’ নামের এই স্ক্যান্ডালের ঘটনায় জনসন সরকারের ওপর আস্থা হারানো পার্লামেন্ট সদস্যদের সংখ্যা এখন ক্রমশই বাড়ছে। সাবেক একজন নেতা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে জনসনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হতে পারে।

ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য জন স্টিভেনসন বলেছেন, তিনি এ ঘটনায় গভীরভাবে হতাশ। কারণ, জাতীয় পর্যায়ে যখন লকডাউন চলছে তখন প্রধানমন্ত্রী নিজে পার্টি করে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান, তিনি যেন নিজেই আস্থাভোটের মুখোমুখি হন। কিন্তু দুঃখজনক হলো এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মাথায় নিতেই অনিচ্ছা দেখাচ্ছেন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাস্থা ভোটের নিয়ম অনুসারে ১৫ শতাংশ কনজার্ভেটিভ  পার্লামেন্ট সদস্য ‘১৯২২ কমিটি’র চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডির কাছে জমা দিতে হবে। তবে পার্লামেন্ট সদস্যদের পরিচয় প্রকাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের কারো কারো নাম হয়তো প্রকাশ করতে হবে সংসদীয় এলাকার জনগণের জানার অধিকারকে সমুন্নত করার জন্য বা অন্যকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

বরিস জনসন পদত্যাগ করলে কে হবেন কনজার্ভেটিভ দলের নেতা সে সব নিয়ে ও চলছে আলোচনা,  এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন, লিস ট্রুস, ব্রেক্সিট বিষয়ক দায়িত্বে ছিলেন তিনি  জেরমি  হান্ট  সাবেক পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, টম টাগেনহান্ট, আলোচনায় আছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী  ঋষি সুনাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী  সাজিদ জাবেদ সহ আরও কয়েকজন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *