Main Menu

রমজানে চার নির্দেশনায় চলবে প্রাথমিক: ডিপিই

পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিকে ক্লাস শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯ টায়। যা চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এরমধ্য্যে ৩০ মিনিট নামাজ পড়ার বিরতি পাবেন শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ আদেশ জারি করেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনিষ চাকমা। নির্দেশনায় ডিপিই চার নির্দেশনাও দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম ২০ রমজান পর্যন্ত চালু থাকবে। শুধুমাত্র রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি শ্রেণিপাঠদান পরিচালনার জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ পালন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

(১) পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয়ে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান সকাল ০৯:৩০ ঘটিকা থেকে বিকাল ০৩:০০ পর্যন্ত চলবে।

(২) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেরিত রুটিন ও পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত ক্লাসসমূহ বিন্যস্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

(৩) পবিত্র রমজান মাসে বিন্যস্ত রুটিনে নামাজের জন্য ৩০ মিনিট বিরতি থাকবে।

(৪) প্রধানশিক্ষকগণ প্রস্তুতকৃত রুটিনটি সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করবেন।

এর আগে থেকেই রমজান মাসে প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকার সিদ্ধান্তে সমালোচনা জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষকরা। সমালোচনার মুখের গত মঙ্গলবার

২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিকের ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখার পরিপত্র জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন সাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু রাখা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হলো। এরপরই এই সিদ্ধান্ত জানালো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৩ সালেও ১৫ রমজান পর্যন্ত চালু থাকতো সরকারি প্রাথমিক। এখন তো বিশেষ অবস্থা চলছে। এই কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি অবাক হই এখনকার শিক্ষকদের সমালোচনা দেখে। আমার যিনি শিক্ষক ছিলেন, আর এখন যাদের শিক্ষক দেখি তার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। প্রকৃত অর্থে যারা শিক্ষক তাদের সমালোচনার কোন কারণ দেখেননা এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত শনিবার নিজ এলাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছিলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিশুদের শিক্ষা ঘাটতি পুষিয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, একে তো প্রাথমিকে বদলি কার্যক্রম দু’বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ। করোনার সময় ক্লাস না হলেও শিক্ষকরা বসে ছিলেন না। শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, মোবাইলে পাঠদান, বাড়ি বাড়ি খবর নেয়া থেকে শুরু করে প্রতিদিন স্কুলেও যেতে হয়েছে। এরপর মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া কঠিন।

কারণ হিসেবে তারা জানান, রমজানে মাসে অফিস সময়সূচি সাধারণত সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত। সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক ৬০ ভাগ কোটায় নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ নারী শিক্ষক রয়েছেন। ফলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *