করোনার মধ্যেও আমাদের অর্থনীতি উর্ধ্বমুখী ছিল: অর্থমন্ত্রী

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ উর্ধ্বমুখীতে যেখানে সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল, আমাদের অর্থনীতি সবসময় গতিশীল ছিল, প্রবৃদ্ধিও ভালো ছিল। সেজন্য সারাবিশ্বের কাছে আমরা সমাদৃত এবং প্রশংসিত হয়েছি। আমাদের এক্সচেইঞ্জ রেটও স্ট্যাবল ছিল। আমাদের অর্থনীতি এই করোনার মধ্যেও নিম্নমুখী হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার সকালে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
অর্থনীতি যেভাবে উন্নতি হলো- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যখন সারাবিশ্বে একদম খারাপ অবস্থা ছিল সেসময়ও আপনারা দেখেছেন আমরা বেশ ভালো ছিলাম। আমাদের অর্থনীতি কখনো নিম্নমুখী হয়নি। রেভিনিউ যেটি এই সময় দুরূহ ছিল, সেই রেভিনিউ জেনারেশনও আমাদের ১৫ শতাংশ বেশি ছিল। রপ্তানি বাণিজ্য ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বাজেট যখন সংসদে উপস্থাপন করেছিলাম, সেসময় আমি উল্লেখ করেছিলাম জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। সেটিই কিন্তু হয়েছে। আমি মনে করি এসব কিছু সম্ভব হয়েছে এদেশের মানুষের জন্য। আমরা পেয়েছিলাম একজন প্রধানমন্ত্রী, তার সুযোগ্য গতিশীল নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি এই দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য- তারা যেন হাতে টাকা পেতে পারে, সংসার চালাতে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটি যথাযথভাবে কাজ করেছে। অন্য কেউ সাহস পায়নি এটি করার জন্য, আমরা সেটি করেছি। এসমস্ত কারণেই আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আরেকটি খাত বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী হাত ধরে প্রণোদনা ঘোষণায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গেছে ৩৬ শতাংশ। রেমিট্যান্সটা যদিও আমাদের জিওবিতে আসে না। কিন্তু মাথাপিছু আয়ে আসে। এগুলো হলো আমাদের অর্থনৈতিক এলাকা। এর কোথাও কিন্তু নেগেটিভ গ্রোথ নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যেভাবেই হিসাব করেন- আমরা যে হিসাব দিয়েছি আপনারা সেভাবেই পাবেন। কেউ কেউ বলবে আমাদের মূল্যায়ন ঠিক হয়নি, হয়তো আমরা বেশি দেখিয়েছি। আমাদের যে অর্জন সেটি তো আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন, কোথায় আছি আমরা? আমারা তো সব জায়গায় অর্জন দেখতে পাচ্ছি। এখন আপনারা যদি কোনো অর্জন না দেখেন তাহলে বলতে পারেন ঋণাত্মক ফিগার আছে।
গত অর্থবছরের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়ের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ৯ মাসের তুলনায় অনেকে বেড়ে গেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে যে প্রবৃদ্ধি এবং আমাদের মাথাপিছু আয় এগুলো সবকিছু নির্ধারিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস ২০০৮ অনুসরণ করে। অন্যান্য দেশও সেটি অনুসরণ করে থাকে।
Related News

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরRead More

কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’Read More