চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের হাইপারসনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, সর্বোচ্চ গতির হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির জন্য চীনের সাথে তার দেশের প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স সেক্রেটারি ফ্রাঙ্ক কেনড্যাল বলেন, ‘চীনের সাথে প্রতিযোগিতাটা শুধু (অস্ত্রের) সংখ্যা বাড়ানোর নয়, গুণগত মান বাড়ানোরও বটে।’ পেন্টাগনের কার্যালয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কিছু পরীক্ষা চালিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি চীনের এক হাইপারসনিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষার খবর নিশ্চিত করেন। মার্কিন সমরবিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যুহ ভেদ করার জন্যই এমন উচ্চ গতির অস্ত্র তৈরি করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রও শব্দের চেয়েও পাঁচ গুন গতির এ অস্ত্রে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
মঙ্গলবার কেনড্যাল আরো বলেন, ইরাক ও আফগানিস্তানের জন্য বরাদ্দ রাখতে গিয়ে হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ওই সময়ে চীন যে হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় যথেষ্ট সুবিধা পেয়েছে তা-ও স্বীকার করেন তিনি।
তিনি মনে করেন, চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় কাঙ্খিত ফল পেতে হলে হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির ব্যয় বাড়াতে হবে। আগামী বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অপেক্ষাকৃত পুরাতন অস্ত্র কমিয়ে আগামী প্রজন্মের হাইপারসনিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানো।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও দ্রুতগতি সম্পন্ন। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ঘণ্টায় ৬২০০ কিলোমিটার (৩,৮৫৩ মাইল) বেগে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
Related News

বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না: শাম্মি আক্তার
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি কারো রক্তচক্ষুকে ভয়Read More

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে মায়ানমারের শত শত সেনা ও বেসামরিক নাগরিক
মায়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত যোদ্ধাদের হামলার পর শনিবার ৫৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ওRead More