Main Menu

ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সিসিকের গৃহ কর বিষয়ক মতবিনিময় সভা

নগরের উন্নয়ন ও সেবা কার‌্যক্রম আরো জোরদার করতে সকল নাগরিকের গৃহ কর প্রদান মকরে নগরের উন্নয়ন ও সেবার মানোয়নে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সোমবার (২ নভেম্বর ২০২১) দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি’র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রি আরিফুল হক চৌধুরী।

মতবিনিময় সভায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্দেশনায় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সস্প্রতি গৃহ মাঠ জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। জরিপের আলোকে সকল স্থরের অংশিজনদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমের দাবীকৃত গৃহকর আদায়ের কার‌্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

লিখিত বক্তব্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মাঠ জরিপের তথ্যানুসারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৭৫ হাজার ৪শত ৩০টি গৃহ রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে গৃহ করের আওয়ায় আসবে ২০ হাজার ৬শ ৩০টি স্থাপনা। জরিপকৃত সংখ্যা ও পরিমানের উপর ভিত্তি করে ১শ ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার ৪শ ৪৫ টাকার কর দাবি প্রস্তুত করা হয়েছে। দাবিকৃত কর আদায়ে নগরবাসির সহযোগিতার জন্য সিসিকে ২৭টি ওয়ার্ডে অবহিতকরণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯ এর ৮২ ধারা মোতাবেক দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনকে কর আরোপের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। দি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (টেক্সেশন) রুলস ১৯৮৬ অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর সিটি কর্পোরেশনের অন্তভূক্ত সকল বানিজ্যিক ও অবানিজ্যিক গৃহ/ভবন, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসা-বাড়ি এসেসমেন্ট/রি-এসেসম্যান্ট করতে হয়। কিন্তু সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রায় এক যুগ থেকে তা হয়নি। সবশেষ গৃহ জরিপ হয়েছিল ২০০৬-০৭ সালে।

তিনি বলেন, সেবার মানোন্নয়ন, উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করা ও সুষম রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য ২০১৯ সালে এই মাঠ জরিপ কাজ সম্পন্ন করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। দীর্ঘ সময় গৃহ জরিপ না হওয়ায় সিসিক বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে সেবা প্রদান ও উন্নয়ন কাজের অগ্রগতিও বাধাগ্রস্থ হয়েছে।

অপর দিকে সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরিন ব্যয় ও উন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন সাপেক্ষে সিলেট সিটি কর্পোরেশন দেড় বছরে এই জরিপটি সম্পন্ন করে বিধি অনুযায়ী গৃহ করের প্রাথমিক দাবি প্রস্তুত করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে সিসিকের রাজস্ব আয় বাগবে। বাড়বে সেবা ও উন্নয়ন সক্ষমতাও।

মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপর্ণ মতামত প্রদান করেন । সভায় বক্তব্য রাখেন এটিএম শোয়েব, আলহাজ্ব শেখ মখন মিয়া, আব্দুল জব্বার জলিল, তাহমিন আহমদ, মো. আব্দুর রহমান রিপন, শাহ আহমদুর রব, মো. আলা মিয়া, মো. আব্দুল আহাদ, নিয়াজ মো. আজিজুল করিম, আব্দুল মুমিন মল্লিক, সৈকত দাশ গুপ্ত, রাবেয়া আক্তার রিয়া, মো. রইছ আলী, সোমা বেগম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারে অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি বর্মকর্তা ইয়াসমিমন নাহার রুমা, প্রধার রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান এসেসর চন্দন দাশ, কর কর্মকর্তা রমিজ মিয়া, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালেয়ের ২০১১ সালের পরিপত্র অনুসারে আর্দশ কর তপসিলে, গৃহকর ৭ শতাংশ, কনজারভেন্সি ৭ শতাংশ, আলো ও পানি কর ৩ শতাংশ করে এবং স্বাস্থ্য কর ৮ শতাংশ হারে মোট ২৮ শতাংশ কর প্রদান নির্ধারিত থাকলেও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের সুবিধা বিবেচনায় ৮ শতাংশ স্বাস্থ্য কর বাদ দিয়ে ২০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *